রাজধানীর পল্লবী থানার সাবেক উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহিদুর রহমান জাহিদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনে মৃত্যুর মামলার রায় ঘোষণার জন্য ৯ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছে আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ এ দিন ধার্য করেন। এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তাপস কুমার পাল সাংবাদিকদের জানান, পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর মামলায় দেশে এটিই প্রথম রায়। এ মামলার অন্যতম আসামি এসআই জাহিদুর রহমান জাহিদ ও পুলিশের সোর্স সুমন কারাগারে রয়েছেন। একই থানার এসআই রাশেদুল ইসলাম জামিনে থেকে আদালতে হাজির হন। এছাড়া এসআই কামরুজ্জামান মিন্টু এবং পুলিশের সোর্স রাসেল সম্প্রতি জামিনে গিয়ে লাপাত্তা।
আদালতে উপস্থিত মামলার বাদী নিহতের ভাই ইমতিয়াজ হোসেন রকি আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছেন এবং আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে মিরপুরের ইরানী ক্যাম্প এলাকায় একটি গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে পুলিশের এক সোর্সের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয় গাড়িচালক জনির। সেই রাতেই পল্লবী থানার সাবেক এসআই জাহিদসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য ইশতিয়াক হোসেন জনিকে থানা হেফাজতে নিয়ে নির্যাতন করে হত্যা করেন। এ ঘটনায় নিহত জনির ভাই ইমতিয়াজ হোসেন রকি ২০১৪ সালের ৭ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে মামলা করেন। পরে আদালত মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেয়। ২০১৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বিচার বিভাগীয় তদন্ত শেষে পাঁচজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। ২০১৬ সালের ১৭ এপ্রিল এই মামলায় এসআই জাহিদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত। এছাড়া পুলিশ হেফাজতে ঝুট ব্যবসায়ী সুজনের হত্যার মামলায়ও এসআই জাহিদুর রহমান জাহিদ আসামি রয়েছেন।
