শুক্রবার, ২৮ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা
৩১ উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন উদ্বোধন

বিদ্যুৎ ব্যবহারে মিতব্যয়ী হোন : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিদ্যুৎ ব্যবহারে মিতব্যয়ী হোন : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ অনেক বেশি হওয়া সত্ত্বেও ভর্তুকি দিয়ে তা গ্রাহকদের কাছে সরবরাহ করা হচ্ছে। তাই অহেতুক বিদ্যুৎ অপচয় করবেন না। বিদ্যুৎ ব্যবহারে মিতব্যয়ী হোন। গতকাল ৩১টি উপজেলার শতভাগ বিদ্যুতায়নের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী একই সঙ্গে দুটি পাওয়ার প্লান্ট, ১১টি গ্রিড সাব-স্টেশন, ছয়টি নতুন সঞ্চালন লাইন উদ্বোধন করেন।

সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এগুলো উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ মন্ত্রণালয়ের কার্যালয় থেকে অনুষ্ঠানে সংযুক্ত হন। মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং ২৭টি জেলার জনপ্রতিনিধিরাও ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুজিববর্ষে ২০২০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে আমরা সব ঘরে আলো জ্বালাব। গ্রাহকদের অনুরোধ করব, আপনারা বিদ্যুৎ ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই মিতব্যয়ী হবেন, সাশ্রয়ী হবেন। বিদ্যুৎ অপচয় আপনারা করবেন না। এতে আপনাদেরই লাভ, বিদ্যুতের বিল কম উঠবে। অন্তত নিজেদের কথা চিন্তা করে, বিদ্যুৎ বিল যাতে কম উঠে, সেদিকে লক্ষ্য রেখে ব্যবহার করবেন; অপচয় বন্ধ করবেন। এটা আমার অনুরোধ। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ কিন্তু অনেক বেশি হয়। এলএনজি আমদানি করছি। এত বেশি খরচের জায়গায় আমরা কিন্তু এখনো ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছি। অর্থাৎ উৎপাদন খরচ যেটা হয়, তার চেয়ে কম পয়সায় আমরা বিদ্যুৎ সরবরাহ করছি। শেখ হাসিনা বলেন, ভর্তুকি সবসময় দেওয়া সম্ভব নয়। এটাও সবাইকে মাথায় রাখতে হবে। যেহেতু আমরা উন্নয়নের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি করছি, মানুষের অসুবিধাগুলো দূর করতে চাচ্ছি। মুজিববর্ষের মধ্যে শতভাগ জনগণ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আসবে আশা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেকটা ঘরে আলো জ্বালাব। শতভাগ বিদ্যুৎ আমরা দিতে পারব। ইতিমধ্যে আমরা ৯৭ ভাগ জনগণকে বিদ্যুৎ দিতে সক্ষম হয়েছি। তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট, যা আমরা এখন ২৩ হাজার ৫৪৮ মেগাওয়াট, আর ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০৪১ সালে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করব। সরকার সারা দেশে সুষম উন্নয়ন করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যখন কোনো উন্নয়ন করি, তখন নির্দিষ্ট কোনো জায়গাকে অবহেলা করি না। তিনি বলেন, ক্ষমতায় আসার পর আমাদের প্রধান চেষ্টা ছিল রাস্তাঘাটের উন্নয়ন ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা। শুধু বাতি জ্বেলে বসে থাকা নয়। বিদ্যুৎ থাকলে কর্মসংস্থানের ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়। ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে আমরা এ পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পেরেছি। বিদ্যুৎ উৎপাদন ও গ্রাহক বাড়িয়েছি।

বার্ষিক পরীক্ষা তো হবে না, দেখি কী করা যায় : সামনে স্কুলগুলোর বার্ষিক পরীক্ষার প্রসঙ্গে দুঃখ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে শিক্ষাকার্যক্রম হুমকির মুখে পড়েছে। সামনে তো বার্ষিক পরীক্ষা। পরীক্ষা তো আর হবে না, দেখি সেক্ষেত্রে আর কী করা যেতে পারে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি জানি আমাদের শিক্ষার্থীদের সত্যিই খুব কষ্ট হচ্ছে। এই যে এতদিন পর্যন্ত স্কুল নাই, ক্লাস নাই, পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে। কিছু করারও উপায় নেই, কারণ এটি শুধু বাংলাদেশ না সারাবিশ্বই এই সমস্যায় ভুগছে। শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষার প্রমোশনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, টেলিভিশনের মাধ্যমে অনলাইনে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। বইপত্র তো আছেই। সব শিক্ষার্থীকে বলব ঘরে বসেই তারা পড়াশোনা করুক। তারপর দেখি আমরা কীভাবে কী করতে পারি। কারণ সামনে তো ফাইনাল পরীক্ষা। পরীক্ষা তো আর হবে না, সেক্ষেত্রে আর কী করা যেতে পারে। প্রমোশনটা দেওয়া কিংবা পড়াশোনা যাতে চলতে পারে সেই ব্যবস্থাটাই করা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর