শিরোনাম
শুক্রবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

আবারও রিমান্ডে সাবরিনা ও রিজেন্টের সাহেদ

আদালত প্রতিবেদক

আবারও রিমান্ডে সাবরিনা ও রিজেন্টের সাহেদ

দ্বৈত পরিচয়পত্র নেওয়ার মামলায় জেকেজির চেয়ারম্যান সাবরিনা আরিফ চৌধুরীকে দুই দিন এবং রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় মানি লন্ডারিংয়ের মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ পারভেজকে ৮ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম মো. তোফাজ্জল হোসেন এবং জিয়াউর রহমান রিমান্ডের এ আদেশ দেন।

সাবরিনার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক মমিনুল ইসলাম আসামিকে আদালতে পাঁচ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। এ সময় আসামির আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ডের আদেশ দেন। জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন আইনের ১৪ এবং ১৫ ধারায় সাবরিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। এ অনুযায়ী কেউ যদি দুই জায়গায় ভোটার হন, তাহলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদ- অথবা ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা যায়। উল্লেখ্য, করোনার রিপোর্ট জালিয়াতির মামলায় জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান চিকিৎসক সাবরিনা আরিফ চৌধুরী, তার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীসহ আট আসামির বিরুদ্ধে বিচার চলছে। এ ছাড়া জেকেজির মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ  (সিআইডি) সাহেদ করিম ও মাসুদ পারভেজকে আদালতে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে। এ সময় আসামির আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে রিমান্ডের আদেশ দেয়। এ ছাড়া উত্তরা পশ্চিম থানায় করা প্রতারণার সাত মামলায় সাহেদকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। উল্লেখ্য, বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে প্রতারণা ও জালিয়াতি করে ৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা ও করোনাভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ৩ কোটি ১১ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার প্রমাণ পাওয়ায় গত ২৫ আগস্ট উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলাটি দায়ের করেন সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক ইব্রাহিম হোসেন। গত ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করা হয় সাহেদকে। আর ১৪ জুলাই সন্ধ্যায় গাজীপুরের কাপাসিয়া থেকে মাসুদ পারভেজকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরে তাদের বিভিন্ন মামলায় দফায় দফায় রিমান্ডে নেওয়া হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর