শুক্রবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

বাংলাদেশকে করোনা টিকায় অগ্রাধিকার দেবে ভারত

নয়াদিল্লি প্রতিনিধি

‘করোনা প্রতিষেধক টিকা তৈরি হলেই ভারত বাংলাদেশকে অগ্রাধিকার দেবে।’ ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক সাংবাদিক বৈঠকে মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব এ কথা জানান। তিনি এও জানান, ‘পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা যখন ঢাকা সফর করেন, তখন এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল।’ ভারত বাংলাদেশের নিকট বন্ধু প্রতিবেশী এবং স্ট্র্যাটেজিক সম্পর্কের ভিত্তিতে বাংলাদেশকে অগ্রাধিকার দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত প্রীত, ভ্যাকসিন তৈরির জন্য ভারতের সিরাম সংস্থা এবং বাংলাদেশের বেক্সিমকো গত ২৮ আগস্ট চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। উভয় সংস্থা করোনা মোকাবিলায় দ্রুত ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে বলে আশা করছি।’ সিরাম  সংস্থা অক্সফোর্ডের টিকার শেষ পর্যায়, মানে তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা শুরু করেছে। এই সংস্থায় বেক্সিমকো প্রাথমিক লগ্নি করেছে। চুক্তি অনুযায়ী সিরাম সংস্থা যখনই ভ্যাকসিন বাজারে ছাড়ার অবস্থায় আসবে, ওই লগ্নি অনুযায়ী তখনই বাংলাদেশে দেওয়া হবে।

এই প্রথম নদীপথে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে পণ্য রপ্তানি শুরু হচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, গোমতী নদীপথে ঢাকা থেকে পণ্যবাহী জাহাজ পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে। সোমবার দাউদকান্দি থেকে চালু হওয়া জাহাজ শনিবার ত্রিপুরার সোনামুড়ায় পৌঁছাবে। সেখানে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব ও নয়াদিল্লির ভারতীয় হাইকমিশনারের প্রতিনিধি হিসেবে বাংলাদেশের আগরতলা সহকারী হাইকমিশনার উপস্থিত থাকবেন। মুখপাত্র বলেন, ‘১৯৭২ সালে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহনের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। ইতিমধ্যে উভয় দেশের মধ্যে ২০১৯-২০ সালের মধ্যে ১৩.৫ মিলিয়ন টন পণ্য বাণিজ্য হয়েছে। সম্প্রতি দুটি অতিরিক্ত প্রটোকল যুক্ত হওয়ায় বর্তমানে ৮ থেকে ১০ নদীপথ চালু হয়েছে। সোনামুড়া দাউদকান্দি আরও একটি নৌপথ সংযোজিত হলো। এতে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে কানেকটিভিটি বাড়ল। উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে যেমন পণ্য যেতে পারবে, তেমনি বাংলাদেশ থেকেও পণ্য চলাচল করবে। এতে উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা লাভবান হবে।’ তিনি এও বলেন, ‘বর্তমান কভিডের সময়ে নদীপথে পণ্য বাণিজ্য যেমন স্বাস্থ্যকর, তেমনি অনেক বেশি অর্থ সাশ্রয় হবে।’ উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর