শুক্রবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

ঢাকা-৫ ও নওগাঁ-৬ আসনে উপনির্বাচন ১৭ অক্টোবর

ভোট ইভিএমে

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী ১৭ অক্টোবর ঢাকা-৫ ও নওগাঁ-৬ আসনের উপনির্বাচন। দুই আসনে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ইভিএমে ভোট গ্রহণ করবে ইসি। ভোটের এ তারিখ চূড়ান্ত করে গতকাল দুই আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।

ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর জানান, আগ্রহী প্রার্থীরা ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন। ২০ সেপ্টেম্বর যাচাই-বাছাই। আর ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে। ১৭ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এ দুই আসনে ইভিএমে ভোট গ্রহণ চলবে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোট নেওয়া হবে। ভোটের প্রচারেও সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে নির্দেশনা জারি করা হবে। ঢাকার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে ঢাকা-৫ ও নওগাঁ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে নওগাঁ-৬ উপনির্বাচনর রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। গত ৬ মে হাবিবুর রহমান মোল্লার মৃত্যুতে ঢাকা-৫ ও ২৮ জুলাই ইসরাফিল আলমের মৃত্যুতে নওগাঁ-৬ আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়। আসন শূন্য হওয়ার পর ৯০ দিনের মধ্যে ভোট করার কথা থাকলেও করোনা মহামারীর কারণে ঢাকা-৫ আসনে তা সম্ভব হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন এখন দ্বিতীয় ৯০ দিনের মধ্যে এখানে ভোটের আয়োজন করছে। এর আগে ২৩ আগস্ট কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত হয়, করোনা মহামারীর মধ্যে আটকে থাকা পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচনে ভোট হবে ২৬ সেপ্টেম্বর। ১৩ জুন মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া সিরাজগঞ্জ-১ ও ৯ জুলাই সাহারা খাতুনের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া ঢাকা-১৮ আসনেও উপনির্বাচন দিতে হবে ইসিকে। সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদের ৪ দফায় বলা হয়েছে, সংসদের কোনো সদস্যপদ শূন্য হলে তার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। তবে কোনো দৈব-দুর্বিপাকের কারণে এ নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব না হলে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে ভোট করতে হবে। এর আগে বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনেও প্রথম ৯০ দিনে না পারায় পরের ৯০ দিনে উপনির্বাচন করেছিল ইসি। মহামারীর মধ্যে ১৪ জুলাই ওই দুটি আসনে উপনির্বাচনে যশোর-৬-এ ভোট পড়ে ৬৩.৫ শতাংশ। আর বগুড়া-১-এ ভোট দিয়েছেন ৪৫.৫ শতাংশ ভোটার। এর আগে দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরুর পর ২১ মার্চ তিনটি উপনির্বাচন হয়। তখন গাইবান্ধা-৩ ও বাগেরহাট-৪ আসনে উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল যথাক্রমে ৬০ ও ৬৯ শতাংশ। অবশ্য ঢাকা-১০ আসনে ইভিএমে মাত্র ৫ শতাংশ ভোট পড়ে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর