শনিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

বিনা খরচে এক হাজার কর্মী যাবে বিদেশে

রিক্রুটিং এজেন্সির অনীহা

রুকনুজ্জামান অঞ্জন

মুজিববর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে সরকার বিনা অভিবাসন ব্যয়ে বিদেশে ১ হাজার কর্মী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর এ বিষয়ে দেশের রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর কাছ থেকে সাড়া মিলছে না।

জনশক্তি কর্মসংস্থান ব্যুরো- বিএমইটি বলছে, কোন্ রিক্রুটিং এজেন্সি কত কর্মীকে বিদেশে পাঠাতে পারবে তার তালিকা চেয়ে গত ছয় মাসে তিন দফা চিঠি পাঠানোর পরও কেউ তালিকা দেয়নি। তালিকা দেওয়ার জন্য সর্বশেষ চিঠির মেয়াদ শেষ হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর অ্যাসোসিয়েশন বায়রা বলছে, সরকারের এ সিদ্ধান্তকে তারা সাধুবাদ জানালেও কভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে এখন তারা ‘অপারগ’। বায়রা সভাপতি বেনজীর আহমেদ এমপি জানান, গত মার্চ থেকে লকডাউনের কারণে কোনো রিক্রুটিং এজেন্সি কার্যক্রম চালাতে পারছে না। এখন বিএমইটি চিঠি দিলেও এজেন্সিগুলোয় কোনো কর্মচারী নেই যারা তা পড়ে দেখবেন। তিনি বলেন, ‘করোনা সংকটের কারণে বিদেশে জনশক্তি রপ্তানির চাহিদা একেবারেই কমে গেছে। এমনকি অনেক দেশে বিমানও চলছে না। এখন চাইলেও আমরা বিদেশে কর্মী পাঠাতে পারব না। এমনকি পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে এ বছরও এটি সম্ভব হবে না।’ সংশ্লিষ্টরা জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ উদ্যাপন উপলক্ষে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল চলতি বছর ১ হাজার কর্মীকে বিনা অভিবাসন ব্যয়ে কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে বিদেশ পাঠাবে। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য যেসব রিক্রুটিং এজেন্সি কর্মী পাঠাতে পারবে তাদের তালিকা চেয়ে গত ১০ ফেব্রুয়ারি চিঠি পাঠায় বিএমইটি। কোনো রিক্রুটিং এজেন্সির তালিকা না পাওয়ায় দ্বিতীয় দফা চিঠি পাঠানো হয় ২৭ ফেব্রুয়ারি। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গত মার্চে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ‘লকাডাউন’ শুরু হলে এ কার্যক্রমে ভাটা পড়ে। এরপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এলে ২৮ আগস্ট আগ্রহী রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর তালিকা চেয়ে তৃতীয় দফা চিঠি পাঠানো হয়, যার সময়সীমা শেষ হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। বিএমইটির মহাপরিচালক মো. শামছুল আলম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘চিঠিতে কাজ না হলে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে আলোচনায় ডাকা হবে। তাদের বলা হবে, সরকারের উদ্যোগটি জনস্বার্থে। এখানে ব্যবসায়িক চিন্তা করা যাবে না। সারা বছর তারা বাণিজ্যিকভাবে লাখ লাখ কর্মী বিদেশে পাঠায়। এর মধ্যে ১০০ এজেন্সিও যদি ১০ জন কর্মীর দায়িত্ব নেয়, তাহলেই মুজিববর্ষের কার্যক্রম বাস্তবায়ন হয়ে যাবে।’

সর্বশেষ খবর