মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

ওয়াহিদাকে আইসিইউ থেকে স্থানান্তর

আরও দুজন আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক

ওয়াহিদাকে আইসিইউ থেকে স্থানান্তর

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তাকে আইসিইউ থেকে হাইডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, তাঁকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে। যেহেতু তিনি মাথায় আঘাত পেয়েছেন সে কারণে তিনি এখনো পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত নন। এদিকে ওয়াহিদা খানম ও তাঁর বাবা ওমর আলীর ওপর হামলার ঘটনায় নতুন করে দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।

আগারগাঁও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানান, ওয়াহিদা খানমের শরীরের ডান পাশের উন্নতির জন্য তাঁকে ফিজিওথেরাপি দেওয়া হচ্ছে। তিনি কথা বলতে পারছেন। পরিবারের কথা জিজ্ঞেস করেছেন। স্বামীর সঙ্গে কথা বলেছেন। এ থেকে বলা যায়, তিনি জ্ঞানের দিক থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় আছেন। গতকাল দুপুরে ট্রমা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মো. জাহেদ হোসেন বলেন, ৭২ ঘণ্টার নিবিড় পর্যবেক্ষণ শেষে ওয়াহিদা খানমকে এইচডিইউতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় তাঁকে এইচডিইউতে নিয়ে যাওয়া হয়। এইচডিইউর সার্ভিসটা একই হবে। নিবিড় পর্যবেক্ষণ চলছে। তবে তাঁকে আইসিইউতে রাখার প্রয়োজনীয়তা নেই। তাঁর ডান পাশ অবশ। সেটার কোনো উন্নতি এখনো হয়নি। এটার উন্নতি হবে, কীভাবে হবে, সেটা বলা যাচ্ছে না। ওয়াহিদা খানম শঙ্কামুক্ত কিনা, তা জানতে চাইলে অধ্যাপক মো. জাহেদ হোসেন বলেন, ৭২ ঘণ্টার অবজারভেশন গত রবিবার রাতে শেষ হয়েছে। এরপর মেডিকেল বোর্ড বসেছে। বোর্ড তাঁকে এইচডিইউতে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়। তিনি শঙ্কামুক্ত এটা বলা যাবে না। যেহেতু তিনি মাথায় বড় একটা আঘাত পেয়েছেন, যে কোনো সময় যে কোনো কিছু ঘটতে পারে। আরও দুজন আটক : গতকাল বেলা ১টার দিকে উপজেলা চত্বর থেকে দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যান ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ। এরা হলেন উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের গাড়িচালক ইয়াসিন আলী (২৮) এবং ইউএনওর বাসভবনের পরিচ্ছন্নতাকর্মী অরসোলা হেমর্বম (৩৬)। প্রায় ১৪ বছর ধরে তিনি ওই বাসায় পরিচ্ছন্নতার কাজ করতেন। তাঁর বাসা উপজেলার মিশন আবিরপাড়া এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার মধ্যরাতে ইউএনওর সরকারি বাসভবনের ভেন্টিলেটর কেটে দুর্বৃত্তরা ওয়াহিদা খানমের শয়নকক্ষে ঢুকে পড়ে। এর আগে দুর্বৃত্তরা ওই বাসভবনের নিরাপত্তাপ্রহরীকে বেঁধে প্রহরীকক্ষে তালা দিয়ে আটকে রাখে। ইউএনওর বাবা ওমর আলী (৭০) প্রতিদিন সকালে হাঁটতে বের হন। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে তিনি হাঁটতে বের না হওয়ায় সঙ্গীরা তাঁর খোঁজ নেওয়ার জন্য বাসভবনে যান। অনেক ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া না পেয়ে তাঁরা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে ইউএনও, তাঁর বাবা ও প্রহরীকে উদ্ধার করে। আহত বাবা-মেয়েকে বৃহস্পতিবার সকালে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ওয়াহিদাকে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারে ঢাকায় নেওয়া হয়। তিনি এখন ঢাকার আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালে চিকিৎসাধীন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর