পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, টাকার অভাব নেই। তবে এখন থেকে লক্ষ্যভিত্তিক অর্থ ব্যয়ের দিকে যাচ্ছে সরকার।
গত একনেক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, অর্থ ব্যয় কোথায় হচ্ছে সেটি দেখতে হবে। তাই এখন থেকে ব্যয়টা টার্গেট করা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রধান টার্গেটে থাকবে পানি। এর সঙ্গে হাইজিন ও স্যানিটেশন। রাষ্ট্রের অর্থ বেশি ব্যয় হবে তাদের জন্য, যারা নিম্ন আয়ের। গতকাল পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন বিষয়ক এক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ডিজেএফবি) এবং ডরপ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, উন্নত দেশের প্রধান পরিচয় হবে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ। আমরা সেই চেষ্টা চালাচ্ছি। অনেকটা সফলও হয়েছি। কিন্তু তারপরও আরও কাজ করতে হবে। আমাদের অর্থ খরচের টার্গেট নিয়ে অনেক সময় নানা ঝামেলা হয়। নানা ধরনের চাপ থাকে। সরকার বরাদ্দ বাড়াচ্ছে এবং সেটি অব্যাহত থাকবে। সম্প্রতি হাওর এলাকায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য ৮০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে একনেক। স্যানিটেশনের জন্যও প্রকল্প হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা হচ্ছে গ্রাম হবে শহর। এটি রাতারাতি হবে না। তবে বিভিন্ন পরিকল্পনার মাধ্যমে তা করা হচ্ছে। শহরের সব সুবিধা গ্রামে পৌঁছানো আমাদের সাংবিধানিক ও নৈতিক দায়িত্ব। তিনি বলেন, সুনামগঞ্জের কিছু এলাকায় পাইপের মাধ্যমে মডেল আকারে পানি সরবরাহ শুরু করেছি। এগুলো আমরা এখন পর্যায়ক্রমে সারা দেশে পৌঁছে দেব।
