সোমবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

অটো পাস নিয়ে আইনের সংশোধনী সংসদে পাস

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনাকালে গত বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা গ্রহণ সম্ভব না হওয়ায় নির্ধারিত মূল্যায়নের ভিত্তিতে অটো পাসের ফল প্রকাশের জন্য আনা ৩টি আইনের সংশোধনী পাস করেছে জাতীয় সংসদ। এইচএসসির সংশোধনী পাসের আগে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, বিল পাসের পর দুই দিন লাগবে গেজেট প্রকাশ করতে। তারপর ফল প্রকাশ করা হবে। ফল প্রকাশ হওয়ার পর এই শিক্ষার্থীদের স্নাতক পর্যায়ের বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হবে। পরে একে একে ‘ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০২১’, ‘বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) বিল-২০২১’ এবং ‘বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) বিল-২০২১’ সংসদে পাস হয়। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে এ সংক্রান্ত ৩টি বিল পাসের প্রস্তাব করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। পরে তা কণ্ঠ ভোটে পাস হয়।

গুচ্ছ পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা : বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড সংশোধন বিল ২০২১ বিলের ওপর জনমত যাচাই-বাছাইয়ের প্রস্তাবের ওপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, কোনো কোনো সদস্য সংশয় প্রকাশ করেছেন, অটো পাসের পর শিক্ষার্থীরা পরবর্তী পর্যায়ে কী করে যাবে? পরবর্তী পর্যায়ে ভর্তির ক্ষেত্রে পরীক্ষা নেওয়া হবে। আশা করছি, গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা হবে। এখন পর্যন্ত মাত্র ৪টি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া বাকি সব বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে। খুব শিগগিরই আমরা এই পরীক্ষায় যেতে পারব। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গুচ্ছ পদ্ধতিতে যাওয়ার যে শুভ দিক ও সুফলগুলো রয়েছে তাতে শিক্ষার্থীদের হয়রানি একেবারেই কমে যাবে। অভিভাবকদের আর্থিক সাশ্রয় হবে। এই মহামারীর সময়ে লাখ লাখ শিক্ষার্থী সারা দেশে ছুটে বেড়াবে, এক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরেক বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবে পরীক্ষা দিতে, তার মধ্য দিয়ে আরও সংক্রমণ বাড়বে-সেই অবস্থাটিকেও এড়াতে পারব।

২০২১ সালে এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষা হবে : এ সময় শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের ওপর চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার চিন্তা চলছে। যখন স্কুল, কলেজ খুলব, যাদের এসএসসি এবং এইচএসসি আছে ২০২১ সালে তাদের সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের ওপর পরীক্ষা হবে। সেই ক্ষেত্রে দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ক্লাস করবে। অন্যান্য শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে এক দিন করে ক্লাসে আসবে। তারা পুরো সপ্তাহের পড়া নিয়ে যাবে। পরের সপ্তাহে আবার এক দিন আসবে। তিনি আরও বলেন, আমরা এসএসসি ও এইচএসসির একটি সংক্ষিপ্ত সিলেবাস করেছি। তা সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হচ্ছে। তার ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারির যে কোনো সময় যদি আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে পারি তাহলে সেই অ্যাভারেজ সিলেবাসের ওপরে এসএসসির ক্ষেত্রে তিন মাস ও এইচএসসির ক্ষেত্রে চার মাস যদি অন্তত ক্লাস করাতে পারি তাহলে পরীক্ষা নিতে পারব।

৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়ার প্রস্তুতি : শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে আমরা একটি নির্দেশনা দিয়েছি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস খুলে দেওয়ার জন্য যা যা প্রস্তুতির প্রয়োজন সেসব প্রস্তুতি ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নিয়ে নেবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। তার পর আমরা অবস্থা বুঝে এবং আমাদের জাতীয় পরামর্শক কমিটির পরামর্শ অনুযায়ী যে কোনো দিন থেকে খুলব।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর