জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১১ সাংবাদিক নেতার ব্যাংক হিসাব তলবের চিঠি অপ্রত্যাশিত বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। মন্ত্রী গতকাল তাঁর মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিক নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করছিলেন। সাংবাদিক নেতাদের বক্তব্য শুনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি তাদের সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত। ঘটনাগুলো অপ্রত্যাশিতভাবে হয়েছে। আসলে বিষয়টি তারও জানা ছিল না। তথ্যমন্ত্রী মহোদয়ও বোধহয় জানতেন না কিছু।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, এ ঘটনা কীভাবে ঘটল সে বিষয়ে আমি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনিও আপনাদের মতো একটি চিঠির কথা বলেছেন। সেই চিঠির উৎপত্তিটা কোথায় সেটি আমি দেখেছি। আমার মনে হয় একটা ভুল বোঝাবুঝির মাধ্যমে চিঠিটা গেছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এভাবে চিঠি দেওয়া উচিত হয়নি। এটা নিয়ে আমরা একটু দেখে নিই। কোথা থেকে কী হয়েছে, খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব।
১১ জন সাংবাদিক নেতার ব্যাংক হিসাব তলব করে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) চিঠিকে অপ্রত্যাশিত বলে মত দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই আপনাদের সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়েছে, আপনারা কষ্ট পেয়েছেন, ব্যথা পেয়েছেন। আমরা সেই জায়গাটায় কিছু না করতে পারলেও ভবিষ্যতে যাতে এ রকম না ঘটে সেটি লক্ষ রাখব। আমি সবার সঙ্গে আলাপ করছি। সিআইডি, এসবি, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যদের সঙ্গে আলাপ করছি। যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, সেগুলো দেখব।
এ সময় সাংবাদিক নেতারা বলেন, ব্যক্তির নামে সবার হিসাব চাওয়া যেতে পারে। সরকার প্রত্যেকেরই হিসাব চাইতে পারে। কিন্তু সাংবাদিক সংগঠনের নেতা পরিচয়ে চাওয়া হয়েছে। সরকারের নীতিনির্ধারকদের না জানিয়ে কেন সংগঠনের পরিচয়ে চাওয়া হলো। কোন সংস্থা চেয়েছে তাও জানানো হয়নি।
এ সময় সাংবাদিক নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইকবাল সোবহান চৌধুরী, আবুল কালাম আজাদ, মনজুরুল আহসান বুলবুল, ওমর ফারুক, আবদুল জলিল ভূঁইয়া, কুদ্দুস আফ্রাদ ও সাজ্জাদ আলম খান তপু প্রমুখ।
সংগঠনের নাম দিয়ে কেন ব্যাংক হিসাব চাওয়া : তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকার যে কারও ব্যাংক হিসাব তলব করতে পারে। সংসদ সদস্য, ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মকর্তাদেরও ব্যাংক হিসাব তলব হয়। তবে কেউ স্বচ্ছ থাকলে এখানে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই। কারণ এই ব্যাংক হিসাব থেকে যখন তাদের স্বচ্ছতা বেরিয়ে আসবে, তখন মানুষের সামনে তাদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। তবে এটি কেন সংগঠনের নাম দিয়ে চাওয়া হলো এবং কেন এটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলো, সেটিই প্রশ্ন-সে প্রশ্ন অনেকেই রেখেছেন। গতকাল দুপুরে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের প্রথম প্রকাশনা সাময়িকী ‘বিএসআরএফ বার্তা’ উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন তিনি।
