নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আমাকে পরাজিত করতে অনেক পক্ষ এক হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী। তিনি বলেন, এখানে কিন্তু আইভীকে পরাজিত করার জন্য অনেকগুলো পক্ষ এক হয়ে গেছে। সেই পক্ষটা ঘরের হতে পারে, বাইরেরও হতে পারে, সব মিলে গেছে। কীভাবে আমাকে পরাজিত করা যায়, কীভাবে একটা বিশৃঙ্খলা তৈরি করে ভোটে ঝামেলা করা যায়। কিন্তু সবাই জানে আমার বিজয় সুনিশ্চিত। গতকাল প্রচার-প্রচারণার শেষ দিনে নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন আইভী। ফতুল্লার দেওভোগে নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে আইভী বলেন, আমি মনে করি না আমার তরফ থেকে সহিংসতা হবে। কারণ আমার ওই ধরনের কোনো বাহিনী নেই। আমি কোনো দিন সহিংসতাও করিনি। নির্বাচনে সহিংসতা হলে নৌকারই ক্ষতি হবে মন্তব্য করে গত ১০ বছর ধরে নারায়ণগঞ্জ সিটির মেয়র পদে থাকা আইভী বলেন, সহিংসতা হলে আমার ক্ষতি হবে। আমার ভোটাররা আসতে পারবে না। আমি যদি বলি একটি পক্ষ তাই চাচ্ছে? আমার নির্বাচন সবচেয়ে বেশি জমজমাট। সেই জায়গাগুলোর মধ্যে হয়তো কেউ সহিংসতা করে ভোট কেন্দ্রে আসা বাধা দিতে পারে।
নারী ও তরুণ ভোটাররা আওয়ামী লীগের পক্ষেই ভোট দেবে বলে আশা প্রকাশ করে আইভী বলেন, আমি প্রশাসনের কাছে বরাবরই বলে আসছি, ভোটের দিন যাতে উৎসবমুখর থাকে। আমার নারী ভোটাররা যেন আসতে পারে। আমার ইয়াং ভোটাররা যেন আসতে পারে। কারণ আমি জানি এ ভোটগুলো আমার। আমি নির্বাচনে জিতবই ইনশাল্লাহ। সুতরাং আমার বিজয় সুনিশ্চিত জেনে কেউ যদি সহিংতা করে, তাহলে আমার মনে হয় সেটা ঠিক হবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অনুরোধ করব, এ ব্যাপারে যেন সজাগ থাকে তারা।
আইভী বলেন, নির্বাচন যদি সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক হয়, কোথাও যদি কেন্দ্র বন্ধ না হয়, তাহলে ইনশাআল্লাহ আমি লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে পাস করব। এটা আমার চাচা (তৈমূর) নিজেও জানেন যে, আমার এখানে কী অবস্থান। আরেক প্রশ্নের জবাবে নৌকার প্রার্থী আইভী বলেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্র থেকে যারা নারায়গঞ্জ এসেছেন, তারা কাউকে প্রভাবিত করছেন না। এ অভিযোগটা যারা করছেন তা সঠিক না। গত তিনটি নির্বাচনের চেয়ে এবারের নির্বাচন আরও বেশি ‘চ্যালেঞ্জিং’ হিসেবে দেখছেন জানিয়ে সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, আমার প্রত্যেকটি নির্বাচনই চ্যালেঞ্জিং ছিল, প্রত্যেকটিরই একেক রকমের ক্যারেক্টার ছিল। এ নির্বাচনও চ্যালেঞ্জবিহীন নয়, বরং বিভিন্ন কারণে আরও অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং।