সোমবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
ইসি আলমগীর বললেন

কেনা সম্ভব না হলে ইভিএমে ভোট ৭০-৮০ আসনে

নিজস্ব প্রতিবেদক

নতুন প্রকল্পের অধীনে যথাসময়ে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনা সম্ভব্য না হলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ৭০-৮০টি আসনে ইভিএমে ভোট হতে পারে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। তিনি বলেছেন, সচিবালয় যথাসময়ে ইভিএম দিতে পারলে সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ভোটগ্রহণ করা হবে। না হলে ৭০-৮০টি আসনে ইভিএমে ভোট হবে। গতকাল নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। মো. আলমগীর জানান, স্থানীয় কিংবা জাতীয় নির্বাচনে আগে যেখানে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার হয়েছে, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেখানে ইভিএম ব্যবহারে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৭০ থেকে ৮০টি এবং সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে এই ভোটযন্ত্র ব্যবহার করা হবে। তিনি বলেন, সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এজন্য নতুন প্রকল্প নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে ইভিএম কেনার বিষয়টা কমিশনের নয়, সচিবালয় দেখছে। তারা হয়তো আমাদের কাছে একটা গাইডলাইন চাইতে পারে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন হবে। এটা ধরেই ইভিএমের নতুন প্রকল্প নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। সচিবালয় যদি দিতে পারে তবে সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ভোট হবে। কেবল অর্থ নয়, সবকিছু পেলেই কেবল সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে হবে। সাবেক এই ইসি সচিব বলেন, আমরা সর্বোচ্চ ১৫০ আসন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিন্তু প্রকল্প পাস না হলে বা বৈশ্বিক ক্রাইসিস পরিস্থিতিতে যদি অর্থ ছাড়া না হয় কিংবা সব পেলাম কিন্তু হার্ডওয়্যার যদি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি বিদেশ থেকে না আনতে পারে তাহলে তো হবে না। তবে আমাদের যে সক্ষমতা বর্তমানে আছে তাতে ৭০-৮০টি আসনে ইভিএম নিশ্চিত। সংসদ নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের পরিকল্পনা নিয়ে তিনি বলেন, ৩০০ আসনের সব কেন্দ্রেই সিসি ক্যামেরা রাখার ইচ্ছা আছে। সিদ্ধান্ত হয়নি এখনো। সম্ভব হলে সব ভোটকক্ষেই দেব। আমরা এটা আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে দেব। কারণ সংরক্ষণ ও মেরামতের বিষয় আছে। ভোটের পর তারা সিডি দেবে। কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যেমন দিয়েছে। সেখানে সবকিছুর রেকর্ড থাকবে।

সর্বশেষ খবর