রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

জেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী যারা

গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে নৌকা পেলেন রিপন

নিজস্ব প্রতিবেদক

গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন। গতকাল বিকালে গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভায় এ মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়। এ ছাড়াও ৬১ জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়। জেলা পরিষদ নির্বাচনে অধিকাংশই পুরনো মুখ রাখা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী, দলের মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গতকাল বিকাল ৪টায় তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে দলটির সংসদীয় ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের যৌথ সভার শুরুতেই ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়। যৌথ সভায় সংসদীয় ও মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, কাজী জাফর উল্লাহ, রমেশ চন্দ্র সেন, ড. আবদুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব.) মুহম্মদ ফারুক খান, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, রশীদুল আলম, মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, ড. হাছান মাহমুদ, ড. আবদুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। প্রথমে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থিতা চূড়ান্ত শেষে দেশের ৬১টি জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত করার কাজ শুরু হয়। গাইবান্ধা-৫ আসনের নৌকার মাঝি মাহমুদ হাসান রিপন ২০০৬ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। আগামী ১২ অক্টোবর এ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গাইবান্ধা-৫ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এবং জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া গত ২৩ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এরপর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। আওয়ামী লীগের যৌথ সভার শুরুতেই গাইবান্ধা-৫ আসনের সব মনোনয়নপ্রত্যাশীর জীবনবৃত্তান্ত এবং মাঠ জরিপের ফলাফল অনুযায়ী উপনির্বাচনে মাহমুদ হাসান রিপনের হাতেই তুলে দেওয়া হয় আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন। এই আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে ১০ জন মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। তারা হলেন- ফারজানা রাব্বি বুবলি, জি এম সেলিম পারভেজ, মাহমুদ হাসান রিপন, লুদা মিলা পারভীন, এস এম শামসুল আরেফিন, মাহবুবুর রহমান, আল মামুন, উম্মে জান্নাতুল ফেরদৌস ও সুশীল চন্দ্র সরকার।

৬১ জেলায় দলীয় সমর্থন পেলেন যারা : রংপুর বিভাগের পঞ্চগড়ে আবু তোয়বুর রহমান, ঠাকুরগাঁওয়ে মু সাদেক কুরাইশী, দিনাজপুরে আজিজুল ইমাম চৌধুরী, নীলফামারীতে মমতাজুল হক, লালমনিরহাটে মতিয়ার রহমান, রংপুরে ইলিয়াস আহমেদ, কুড়িগ্রামে জাফর আলী, গাইবান্ধায় আবু বকর সিদ্দিক। রাজশাহী বিভাগের জয়পুরহাটে খাজা সামছুল আলম, বগুড়ায় মকবুল হোসেন, নওগাঁয় এ কে এম ফজলে রাব্বী, চাঁপাইনবাবগঞ্জে রুহুল আমিন, রাজশাহীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, নাটোরে সাজেদুর রহমান খান, সিরাজগঞ্জে আবদুল লতিফ বিশ্বাস, পাবনায় আ স ম আবদুর রহিম পাকন। খুলনা বিভাগের মেহেরপুরে মহা. আবদুস সালাম, কুষ্টিয়ায় সদর উদ্দিন খান, চুয়াডাঙ্গায় মাহফুজুর  রহমান, যশোরে সাইফুজ্জামান পিকুল, মাগুরায় পংকজ কুমার কুণ্ডু, নড়াইলে সুবাস চন্দ্র বোস, বাগেরহাটে শেখ কামরুজ্জামান টুকু, খুলনায় শেখ হারুনুর রশীদ, ঝিনাইদহে কনক কান্তি দাস। বরিশাল বিভাগের বরগুনায় জাহাঙ্গীর কবির, পটুয়াখালীতে খলিলুর রহমান, ভোলায় আবদুল মুমিন টুলু, বরিশালে এ কে এম জাহাঙ্গীর, ঝালকাঠিতে খান সাইফুল্লাহ পনির, পিরোজপুরে সালমা রহমান। ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইলে ফজলুর রহমান খান ফারুক, কিশোরগঞ্জে জিল্লুর রহমান, মানিকগঞ্জে গোলাম মহিউদ্দিন, মুন্সীগঞ্জে মো. মহিউদ্দিন, ঢাকায় মো. মাহবুবুর রহমান, গাজীপুরে মোতাহার হোসেন, নরসিংদীতে আবদুল মতিন ভুইয়া, নারায়ণগঞ্জে চন্দন শীল, রাজবাড়ীতে এ কে এম শফিকুল মোরশেদ, ফরিদপুরে মোহাম্মদ ফারুক, গোপালগঞ্জে মুন্সী মো. আতিয়ার রহমান, মাদারীপুরে মুনির চৌধুরী, শরীয়তপুরে ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার। ময়মনসিংহ বিভাগে জামালপুরে মোহাম্মদ বাকী বিল্লাহ, শেরপুরে চন্দ্র কুমার, ময়মনসিংহে ইউসুফ খান পাঠান, নেত্রকোনায় অসিম কুমার সরকার। সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জে খায়রুল কবির রুমেল, সিলেটে নাসির উদ্দিন খান, হবিগঞ্জে মুশফিক হুসেইন চৌধুরী। চট্টগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আল মামুন সরকার, কুমিল্লায় মফিজুর রহমান বাবলু, চাঁদপুরে ইউসুফ গাজী, ফেনীতে খায়রুল বশর মজুমদার, নোয়াখালীতে আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু, লক্ষ্মীপুরে শাহজাহান, চট্টগ্রামে এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম, কক্সবাজারে মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী।

মনোনয়নের ক্ষেত্রে অনেক যাছাই-বাছাই করা হয়েছে। ৬১ জেলায় ৫০০ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। প্রত্যেকের জীবন-বৃত্তান্ত অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে পড়া হয়েছে। অতঃপর এলাকায় জনপ্রিয়তা, মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা ও দলে ত্যাগ ও আনুগত্য ইত্যাদি বিবেচনায় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। ৬১ জেলার মধ্যে সাতক্ষীরা বাদ দিয়ে ৬০ জেলার মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ৩১ জেলার নতুন মুখ আনা হয়েছে। বিদ্রোহী অনেক প্রার্থী মনোনয়ন ফরম কিনেছেন তাদের কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে নেত্রী সরাসরি ‘না’ করে দেন। এমনকি তাদের দলের গুরুত্বপূর্ণ পদেও আনা হবে না। তবে শর্ত সাপেক্ষে ক্ষমা করে দেওয়া হবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়।

সর্বশেষ খবর