মঙ্গলবার, ৪ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

সীমান্তে আবারও মর্টার শেল

বান্দরবান প্রতিনিধি

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে গতকাল বিকাল পর্যন্ত কোনো গোলাগুলি না ঘটলেও সন্ধ্যায় ৩৯, ৪০, ৪১ নম্বর আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার বরাবর কয়েক দফা মর্টার শেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

৪১ নম্বর আন্তর্জাতিক সীমানা পিলারের এপারে বসবাসকারী হাশেমুল হক জানান, তিনি স্পষ্ট মর্টার শেল বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছেন। তবে সেটি সীমান্ত থেকে অনেক দূরে বিস্ফোরিত হয়েছে বলে তার ধারণা।

এদিকে রবিবার স্থলমাইন বিস্ফোরণে নিহত রোহিঙ্গা কিশোর ওমর ফারুকের (১৭) পরিবারে স্বজন হারানোর আহাজারি চলছে। সীমান্তের জিরো লাইনে বেআইনিভাবে পুঁতে রাখা স্থলমাইনে একের পর এক রোহিঙ্গা নাগরিকের মৃত্যু ঘটায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন কোনারপাড়া ক্যাম্পের বাসিন্দারা। ওই ক্যাম্পের নেতা দিল মোহাম্মদ বলেন, আন্তর্জাতিক বিধিবিধান লঙ্ঘন করে মিয়ানমার জান্তা সরকার সীমান্তের জিরো লাইনে স্থলমাইন বসিয়েছে। এ বিষয়ে তারা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

সীমান্তের ওপারে পুঁতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরণে রবিবার ভোরে নিহত রোহিঙ্গা কিশোরের লাশ সন্ধ্যার পর ফিরিয়ে দিয়েছে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিজিপি। রাতেই সীমান্তের জিরো লাইনে তাকে কবর দেওয়া হয়। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের জিরো লাইনে এটি দ্বিতীয়বারের মতো স্থলমাইন বিস্ফোরণের ঘটনা। ১৬ সেপ্টেম্বর অনুরূপ এক মাইন বিস্ফোরণে অন্যথাইন তঞ্চঙ্গ্যা নামে আরেক রোহিঙ্গা নাগরিক আহত হন। তবে কারা, কী কারণে সীমান্তের জিরো লাইনে স্থলমাইন পুঁতে রেখেছে তা জানা যায়নি। প্রসঙ্গত, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বিতাড়িত হয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অনেকেই কক্সবাজারের বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে চলে গেলেও প্রায় সাড়ে ৪ হাজার রোহিঙ্গা নাগরিক বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তমব্রু বাজারের কাছাকাছি বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের জিরো লাইন সংলগ্ন কোনারপাড়ায় রয়ে গেছেন। সীমান্তের গোলাগুলির ঘটনায় সবচেয়ে বেশি উৎকণ্ঠিত এ আশ্রয় শিবিরের বাসিন্দারা। তারা আশঙ্কা করছেন, যে-কোনো সময় মিয়ানমার জান্তা সরকারের বড় ধরনের হামলার শিকার হতে পারেন।

ঘুমধুম সীমান্ত থেকেও গুলির শব্দ : কক্সবাজার প্রতিনিধি জানিয়েছেন, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের রেজু আমতলী সীমান্তে মিয়ানমারে আবারও গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। গতকাল সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে রেজু আমতলী সীমান্তের কাছে ৩৯ ও ৪০ নম্বর সীমানা পিলারের মাঝামাঝি এলাকায় এই গোলাগুলি শুরু হয়। সীমান্তে বসবাসকারী বাংলাদেশি বাসিন্দারা এই শব্দ শুনে আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন।

সর্বশেষ খবর