বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনের মাধ্যমে রাজপথেই এ সরকারকে পরাজিত করা হবে। দেশে গণতন্ত্র ফেরাতে বিএনপির হাজারো নেতা-কর্মী প্রাণ দেবে। তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, এখনো সময় আছে নিরাপদে সরে পড়ুন। নয়তো পালানোরও পথ পাবেন না। পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নিহত নাজির উদ্দিন জেহাদের ৩২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। ১৯৯০ সালের ১০ অক্টোবর পল্টনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন ছাত্রদল কর্মী নাজির উদ্দিন জেহাদ। শহীদ জেহাদ স্মৃতি পরিষদের সভাপতি নব্বইয়ের সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও খায়রুল কবির খোকনের পরিচালনায় সভায় সাবেক ছাত্র নেতা শামসুজ্জামান দুদু, আসাদুজ্জামান রিপন, হাবিবুর রহমান হাবিব, ফজলুল হক মিলন, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। মির্জা ফখরুল বলেন, কিছুদিন আগেও নিন্দুকরা বলত, বিএনপি নেই। বিএনপির কোনো চিহ্নই নেই, রাস্তায় বিএনপি নেই, মুরদ নাই, হাঁটু ভাঙা। এখন কী বলছে? বাবা তোমরা আর ধমক দিও না। এই যে, আমান উল্লাহ আমান যে একটা ধমক দিয়েছে, তাতেই ওদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, আজকের দিনেও সেই একই প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে। সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। প্রয়োজনে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করতে হবে। তিনি বলেন, আমরা দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা, গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনতে চাই। মির্জা ফখরুল বলেন, কয়েকটি মিটিংয়ে আমি বলেছি, ‘সেফ এক্সিট’ নেন, চলে যান, ক্ষমতা ছাড়েন। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দেন, সংসদ বিলুপ্ত করেন। নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নতুন পার্লামেন্ট ইলেকশন দেন।
তারা নতুন করে সরকার গঠন করবে, দেশে নতুন একটা সরকার ব্যবস্থা চালু হবে। তা না হলে পালানোর পথটাও খুঁজে পাবেন না।