শুক্রবার, ৪ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

জনদুর্ভোগ করলে ব্যবস্থা : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে ভাঙচুর ও জনদুর্ভোগ তৈরি করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যবস্থা নেবে। গতকাল সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে সচিবালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। 

 সংগঠনটির সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংলাপ সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।

এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সব সময়েই মনে করে নির্বাচনের মাধ্যমে পাবলিক ম্যান্ডেটে সরকার বদল হবে। সে জন্য সংবিধান অনুযায়ী পাঁচ বছর পর পর নির্বাচন হয়, সেই নির্বাচনকেই আওয়ামী লীগ সরকার বিশ্বাস করে।’ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা যায়। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন- যে কোনো দল তার কর্মকান্ড তারা করবেন। তাতে আমাদের আপত্তি নেই। যদি কেউ রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে কিংবা গাড়িঘোড়া ভাঙচুর করে কিংবা জনগণের দুর্ভোগ তৈরি করার জন্য তারা যদি কিছু করে তাহলে তো আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বসে থাকবে না। তাদের অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে- এটাই স্বাভাবিক। এটা পৃথিবীর সব দেশেই হয়ে থাকে, আমাদের বাংলাদেশেও তার ব্যতিক্রম নয়। প্রধানমন্ত্রী মনে করেন, তারা তাদের রাজনৈতিক কর্মকান্ড যদি স্বাভাবিকভাবে পরিচালনা করে, তারা মিটিং করবে তাদের দাবি-দাওয়ার কথা বলবে, রাজনৈতিক কর্মকান্ড সেগুলো করবে আমাদের সরকারের কোনো রকম বাধা দেওয়ার ইচ্ছা নেই এবং আমরা বাধা দিচ্ছিও না। আসাদুজ্জামান খান বলেন, কোনো এক দলের নেতা বলছেন- আপনারা আসবেন, লাঠিটা নিয়ে আসবেন। লাঠিটা নিয়ে আসার সময় দেশের ফ্ল্যাগটা বেঁধে নেবেন, তাহলে কেউ কিছু বলতে পারবে না।

 ইনটেনশনটা কী সেখানে? দেখলাম পুলিশের ওপর লাঠিপেটা শুরু করেছে। আপনারা সেই দৃশ্য দেখেছেন। তখন তো নিরাপত্তা বাহিনী তার অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে। কোনো ভাঙচুর বা কিছু হয় মামলা হবেই। কালকে একজন বিচারপতির গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। বিচারপতি মামলা করেছেন। এখানে রাজনীতির গন্ধ আনা উচিত নয়।

পুরনো রাজনৈতিক মামলা সক্রিয় হচ্ছে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পুরনো মামলা রয়ে গেছে। এগুলো নিষ্পত্তি করতে হবে। পুরনো বলে কিছু না। পুরনো মামলা তো যুগ যুগ ধরে রাখব না। নতুন করে কিছু হচ্ছে না।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিবের পর সম্প্রতি সময়ে পুলিশের পাঁচজন কর্মকর্তাকে অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। চাকরির ২৫ বছর বয়স হলে যদি কারও কর্ম দক্ষতার ঘাটতি পড়ে যায়, দেশপ্রেম ঘাটতি পড়ে যায় তাহলে সরকার ব্যবস্থা নিতে পারে। সেই পর্যায়ে তাদের দক্ষতা ও দেশপ্রেমের ঘাটতি ছিল বলে ডিপার্টমেন্ট থেকে সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সে যদি কাজ না করে, বসেই থাকে, দায়িত্ব পালন না করে তবে তো দক্ষতা ও দেশপ্রেমে ঘাটতির বিষয়টিই প্রমাণ হয়।

মাদক বন্ধে কাজ করছি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের সহযোগিতার অভাবে মাদক আসা ঠেকাতে শতভাগ সফলতা আসছে না। সবচেয়ে ক্ষতিকর মাদক আসে মিয়ানমার থেকে। এ জন্য দেশটির সঙ্গে আলাপ হচ্ছে। কিন্তু মিয়ানমার বলে অনেক কিন্তু কিছুই করে না।

সর্বশেষ খবর