বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

টাকা রাখার নিরাপদ জায়গা ব্যাংকই

-------- নুরুল আমিন

টাকা রাখার নিরাপদ জায়গা ব্যাংকই

বিশিষ্ট ব্যাংকার মোহাম্মদ নুরুল আমিন বলেছেন, টাকা রাখার নিরাপদ জায়গা তো ব্যাংকই। আর তো কোনো জায়গা নেই। মানুষকে আস্থা রাখতে হবে। অস্থিরতায় ভুগলে হবে না। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। মোহাম্মদ নুরুল আমিন বলেন, ডলারের বাজারে এক্সচেঞ্জ রেটে অস্থিরতা একটু আছে। এটাতে কোনো ভুল নেই। একেকজনের কাছে একেক রকম রেট। ব্যাংকে রপ্তানিতে এক রেট, রেমিট্যান্সে এক রেট, মানি এক্সচেঞ্জে এক রেট, আবার হুন্ডিতে আরেক রেট। ডলারে অস্থিরতাটুকু আছে, সেটার সঙ্গে অনেকেই টাকাটা মেলানোর চেষ্টা করছে। সামগ্রিক বিবেচনায় বাংলাদেশ যে অবস্থায় আছে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক যে কথাটা বলেছে, সে হিসেবে কোনো আমানতকারী বা কোনো নাগরিকের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।

তিনি বলেন, ব্যাংকিং সিস্টেমটা বহুদিনের পুরনো। ব্যাংকের সব আমানত তো শাখায় থাকে না। ফলে কোনো শাখায় গ্রাহক টাকা তুলতে গিয়ে কখনো ফিরেও আসতে পারেন। এ ধরনের খারাপ অভিজ্ঞতা তো প্রতিদিন হয় না। সেটা হয়, টাকা পেতে একটু দেরি হয়। আবার এমন হতে পারে, কোনো শাখায় ওই দিন অনেক বেশি গ্রাহক টাকা তুলেছেন। ফলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে টাকাটা অন্য ব্যাংক থেকে আনতে একটু সময় লেগেছে। সাবেক ব্যাংকার নুরুল আমিন বলেন, দেশে কার্যরত ব্যাংকগুলোর ১০ হাজারের বেশি শাখা রয়েছে। সব শাখায় যদি নগদ টাকা রাখে তাহলে ঋণ দেবে কোথা থেকে এবং মানুষ কেন ব্যাংকে টাকা রাখবে। ব্যাংকগুলোয় বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান কার্যালয়ের নিয়ম আছে। শাখাগুলোয় কী পরিমাণ নগদ টাকা রাখতে পারবে তার নির্দেশনা দেওয়া আছে। চাইলেই কোনো শাখায় বেশি টাকা রাখার সুযোগ নেই। ফলে কোনো শাখার টাকা দিতে দেরি হওয়ার মানে এই নয় যে তারল্য সংকট।

তিনি বলেন, রবিবার এ গুজব ছড়ানোর পর নতুন করে আর কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তার মানে সবকিছু ঠিকঠাক চলছে। সেরকম অবস্থা তৈরি হয়নি। আর বাংলাদেশ ব্যাংক যেটা বলেছে সেটা তাদের দায়িত্ব এবং দায়িত্ব নিয়েই বলেছে। মানুষকে আস্থা রাখতে হবে। অস্থিরতায় ভুগলে চলবে না।

সর্বশেষ খবর