শুক্রবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

ইয়াবা দিয়ে পুলিশের ছেলেকে ফাঁসানোর চেষ্টা!

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সিলেটে এক কলেজছাত্রকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগে তিন পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ওই কলেজছাত্রও এক পুলিশ পরিদর্শকের ছেলে।

বরখাস্ত হওয়া তিন পুলিশ (কনস্টেবল) সদস্য হলেন- মো. ঝুনু হোসেন জয়, ইমরান মিয়া ও মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। ওই তিনজনই সিলেট

মহানগর পুলিশ (এসএমপি) লাইনে কর্মরত ছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এসএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার সুদীপ দাস।

হয়রানির শিকার সাইফুর রহমান আসাদ (১৮) পুলিশ সদর দফতরের পিআইও শাখায় কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক আবু সায়েদের ছেলে। তিনি সিলেট শহরতলির মেজরটিলা এলাকার বাসিন্দা। জানা গেছে, ১৩ অক্টোবর অনলাইনে নিজের পুরনো একটি মোবাইল ফোন ১৬ হাজার টাকায় বিক্রি করেন আসাদ। সেই ফোন বিক্রির টাকা নিতে ওইদিন সন্ধ্যার পর এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে নগরীর বন্দরবাজার এলাকায় যান তিনি। মোবাইল বিক্রির টাকা নিয়ে তারা দুজনে যান শাহজালাল (রহ.) মাজার এলাকায়। সেখানে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর তিন পুলিশ সদস্য এসে আসাদ ও তার বন্ধুকে ঝাপটে ধরেন। তারা তাদের সঙ্গে থাকা একটি ব্যাগ তল্লাশি করে ইয়াবা পেয়েছেন বলে দাবি করেন। তখন আসাদ এর প্রতিবাদ করেন। তিনি পুলিশে কর্মরত তার বাবার পরিচয়ও দেন। বিষয়টি তিনি তার বাবাকেও জানান। খবর পেয়ে শাহপরান থানায় কর্মরত এসআই জামাল ভুঁইয়া ঘটনাস্থলে যান। তিনি আসাদ ও তার বন্ধুকে নগরীর কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যান। সেখানে মুচলেকা রেখে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে কলেজছাত্রকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা ও টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগটি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে পৌঁছায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে এসএমপি পুলিশ লাইনের এডিসি (ফোর্স) সালেহ আহমদকে ঘটনাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি ২৪ নভেম্বর প্রতিবেদন দাখিল করেন। তদন্তে তিন কনস্টেবলের অপকর্মের বিষয়টি বেরিয়ে আসে। এরপরই তাদের তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এ প্রসঙ্গে এসএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার সুদীপ দাস বলেন, ‘পুলিশ লাইনের এডিসির তদন্তে এ তিন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ফাঁসানোর অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাসহ যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সর্বশেষ খবর