মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

মরক্কোর সামনে ইতিহাস

ক্রীড়া প্রতিবেদক, কাতার থেকে

ভূমধ্যসাগরের দুই পাড়ের দেশ মরক্কো ও স্পেন। আবহাওয়া প্রায় একই রকম। শুধু সীমানার কারণে দুই মহাদেশে অবস্থান দেশ দুটির। দুই দেশেই ফুটবল জনপ্রিয়। ফুটবল বিশ্বে স্পেন পরাশক্তি। ২০১০ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। মরক্কো আফ্রিকার ফুটবল পরাশক্তি। দুই দেশ এবার মুখোমুখি হচ্ছে বিশ্বকাপ ফুটবলের নকআউট পর্বে।  অবশ্য চার বছর আগে রাশিয়া বিশ্বকাপেও মুখোমুখি হয়েছিল দেশ দুটি। সেবার গ্রুপ পর্বের ম্যাচে হারজিত হয়নি। ড্র হয়েছিল ২-২ গোলে। এবার এক দলকে বিদায় নিতেই হবে ফুটবল মহাযজ্ঞ থেকে। দুই দলের সুযোগ রয়েছে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার। ২০১০ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্পেন সর্বশেষ দুই আসরে বিদায় নিয়েছিল নকআউট পর্ব থেকে। মরক্কো গ্রুপ পর্ব টপকাতে পারেনি। আফ্রিকান দেশটি একবারই নকআউট পর্বে খেলেছিল। ১৯৮৬ সালে পশ্চিম জার্মানির কাছে হেরে বিদায় নেয় মরক্কো। মরক্কোর সামনে এবার ইতিহাস গড়ার হাতছানি। এজন্য মরক্কোকে আজ বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় হারাতেই হবে লুইস এনরিকের স্পেনকে। ‘এফ’ গ্রুপ থেকে সবার শীর্ষে থেকে নকআউট পর্বে খেলছে আবু খালাল, এল নাসিরি, জেইচরা। গতিশীল ফুটবল খেলে মরক্কো বিশ্বকাপ মিশন শুরুর করে গত আসরের রানার্সআপ ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে। পরের ম্যাচে চমকে দেয় বেলজিয়ামকে। সেইস ও আবু খালালের গোলে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে নকআউট পর্বে খেলার আশা জাগিয়ে রাখে। র‌্যাঙ্কিংয়ে বেলজিয়াম বিশ্বের ২ নম্বর দল। গত আসরের সেমিফাইনাল খেলেছিল এইডেন হ্যাজার্ডের সোনালি প্রজন্মের বেলজিয়াম। নকআউট পর্বে খেলতে শেষ ম্যাচে কানাডাকে হারাতেই হতো মরক্কোকে। গতিশীল কানাডার বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতেছে মরক্কো। দুই জয়ে নকআউট পর্বে জায়গা করে নেয় আফ্রিকান দেশটি। দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মিশনে স্পেন শুরু করে কোস্টারিকাকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে। পরের ম্যাচে ১-১ গোলে ড্র করে চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানির সঙ্গে। শেষ ম্যাচ এগিয়ে থেকেও ‘সূর্যোদয়ের দেশ’ জাপানের কাছে হেরে যায় ১-২ গোলে। ২০১০ সালের চ্যাম্পিয়ন স্পেন ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে গ্রুপপর্ব টপকাতে পারেনি। ২০১৮ সালে নকআউট পর্বে স্বাগতিক রাশিয়ার কাছে হেরে যায় টাইব্রেকারে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর