সোমবার, ২ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স ১৭০ কোটি ডলার

নিজস্ব প্রতিবেদক

ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স ১৭০ কোটি ডলার

চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে প্রবাসীরা ১ হাজার ৪৯ কোটি ২৬ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। সদ্য সমাপ্ত ডিসেম্বর মাসে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ১৭০ কোটি ডলার। সার্বিক ভাবে আগের বছরের তুলনায় ২০২২ সালে রেমিট্যান্স কমেছে ৭৮ কোটি ডলার। গতকাল প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে ১ হাজার ৪৯ কোটি ২৬ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন। অর্থবছরে প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছে ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ মার্কিন ডলার, আগস্টে ২০৩ কোটি ৬৯ লাখ ডলার, সেপ্টেম্বরে ১৫৩ কোটি ৯৫ লাখ ডলার, অক্টোবরে ১৫২ কোটি ৫৫ লাখ ডলার এবং নভেম্বর এসেছে ১৫৯ কোটি ৪৭ লাখ মার্কিন ডলার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জানুয়ারিতে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ১৭০ কোটি ৪৫ লাখ ডলার। ফেব্রুয়ারিতে ১৪৯ কোটি ৪৪ লাখ ডলার। মার্চে ১৮৫ কোটি ৯৭ লাখ ডলার। এপ্রিলে ২০১ কোটি ডলার। মে মাসে ১৮৮ কোটি ৫৩ লাখ ডলার। জুনে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে পাঠিয়েছেন ১৮৩ কোটি ৭২ লাখ ডলার। ২০২২ সালে প্রবাসীরা ২ হাজার ১২৮ কোটি ৩৭ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন ব্যাংকিং চ্যানেলে। যা আগের বছরের চেয়ে ৭৮ লাখ ৬৩ হাজার ডলার কম। ২০২১ সালে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ২০৭ কোটি ডলার। রেমিট্যান্সের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় চলতি অর্থবছর শুরু হলেও সেপ্টেম্বরে গিয়ে কমে যায় প্রবাসী আয়। আগের মাসের তুলনায় সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স কমে যায় ৫০ কোটি ডলারের বেশি। পতনের ধারা অব্যাহত ছিল অক্টোবর মাসেও। তবে নভেম্বর থেকে কিছুটা হলেও বাড়তে শুরু করেছে রেমিট্যান্স। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ডিসেম্বর মাসে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ছয়টি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ২৪ কোটি ৬৫ লাখ ডলার। বিশেষায়িত কৃষি ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩ কোটি ৮৭ লাখ ডলার। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৪০ কোটি ৭৬ লাখ ডলার। বিদেশি ব্যাংকগুলোতে এসেছে ৬ কোটি ৭৮ লাখ ডলার। বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসীদের প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। আগে ২ শতাংশ দেওয়া হলেও গেল বছরের ১ জানুয়ারি থেকে বাড়িয়ে আড়াই শতাংশ করা হয়েছে। মহামারি করোনা শুরুর পর থেকে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স বেড়েছিল। করোনার প্রাদুর্ভাব কমে যাওয়া হুন্ডিতে রেমিট্যান্স বেড়েছে। কমেছে ব্যাংকিং চ্যানেলে। হুন্ডি ঠেকাতে সরকার মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে রেমিট্যান্স সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর