মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

তাদের প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে যাব না

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী

তাদের প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে যাব না

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আমরা এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাব না। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে অংশ নেব। কারণ এদের অধীনে নির্বাচনে গিয়ে তাদের ভোট চুরির প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে যাব না। তবে জনগণের বার্তা হলো- তারা আর এ দেশে ভোট চুরির কোনো নির্বাচন হতে দেবে না। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গতকাল তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় বিএনপি ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ২৭ দফাসহ তিনি দেশের সার্বিক রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে কথা বলেন।

২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের বর্ণনা দিয়ে তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, এগুলো কি নির্বাচন হয়েছে। স্রেফ ভোট চুরি। গ্রামের একটি প্রবাদের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘চোরের দশ দিন, আর গৃহস্থের একদিন’। গৃহস্থের সেই একদিন সামনেই এসে গেছে। কারণ, গৃহস্থ এখন জেগে উঠেছে। তারা ঐক্যবদ্ধভাবে চোর পাহারা দিচ্ছে। তাছাড়া রাজনৈতিক দলগুলোর যুগপৎ আন্দোলনও শুরু হয়ে গেছে। দেশের সাধারণ মানুষও সেই আন্দোলনে শামিল হচ্ছে। এই দেশে আর ভোট চুরির নির্বাচন হবে না। বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এখন কোন দিকে যাবে, কিংবা দেশ কোন পথে যাবে সেটা নিয়েও দ্বিধা আছে। বিদেশিরাও উদ্বিগ্ন। এই গভীর সংকট থেকে দেশ কীভাবে বের হবে? সেই প্রেক্ষাপটে কিন্তু আজকে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা দেওয়া হয়েছে। যার মূল উদ্যোক্তা হলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে গভীর সংকটে নিপতিত করেছে। যা অনেক গভীরে চলে গেছে। এখান থেকে মুক্তি পেতে হলে ২৭ দফা রূপরেখা বাস্তবায়ন করতে হবে। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত বিএনপি তুলে ধরেছে। বিদেশিদের কাছে খুব বেশি গ্রহণযোগ্য হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতি শুরু হয়েছে। দেশের ৬৫ শতাংশ ব্যবসায়ী সংসদে বসে আছে। তারা তো কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না। আজকে দেশ থেকে টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে। এটা তো তারাই করছে। আজকে দেশের অর্থনীতি আওয়ামী অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। সুতরাং পরিবর্তন দরকার। আপার হাউসের পরিবর্তন দরকার। যারা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পারদর্শী তারা সেখানে যাবেন। তখনই দেশের স্থিতিশীলতা আসবে।

 

সর্বশেষ খবর