শিরোনাম
শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন পাঁচ ঝুঁকিতে

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের অর্থনীতি পাঁচ ধরনের ঝুঁকিতে রয়েছে বলে মনে করে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ)। গতকাল এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। অবশ্য এসব ঝুঁকি বিশ্বের অন্যান্য দেশের অর্থনীতির জন্য বলেও মনে করে সংস্থাটি। এতে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, দীর্ঘমেয়াদি উচ্চ মূল্যস্ফীতি দেশের অর্থনীতির প্রধান ঝুঁকি। বাকি চার ঝুঁকির খাত হিসেবে ঋণসংকট, উচ্চ পণ্যমূল্যের ধাক্কা, মানবসৃষ্ট পরিবেশগত ক্ষতি ও সম্পদের জন্য ভূ-রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা। এটি মূলত ধারণাভিত্তিক একটি জরিপ প্রতিবেদন। এই জরিপে অংশগ্রহণকারীদের জিজ্ঞাসা করা হয়, ‘আগামী দুই বছরে আপনার দেশের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কোনগুলো।’ অংশগ্রহণকারীদের ৩৫টি ঝুঁকির তালিকা দেওয়া হয়। সেখান থেকে তারা পাঁচটি প্রধান ঝুঁকি চিহ্নিত করেন।

এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে এক বছর ধরে মূল্যস্ফীতি উচ্চ। ২০২১ সালের নভেম্বরে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর থেকে মূল্যস্ফীতি মাত্রা ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে, ২০২২ সালের আগস্টে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ। পরের মাস সেপ্টেম্বরে তা কিছুটা কমে ৯ দশমিক ১ শতাংশ হয়। ওই দুই মাসে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের ওপরে ছিল। পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২২ সালের আগস্টে গত ১১ বছর ৩ মাসের (১৩৫ মাস) মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি হয়েছে। এর আগে ২০১১ সালের মে মাসে সর্বোচ্চ ১০ দশমিক ২০ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছিল। ২০১১ সালের মে মাসের পর মূল্যস্ফীতি আর কখনো ৯ শতাংশের বেশি হয়নি। উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এখন অর্থনীতির বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এদিকে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন ঋণচুক্তি না হলে শুধু পাইপলাইনে থাকা প্রতিশ্রুতি থেকে ঋণ পেলে আগামী কয়েক বছরে ঋণ পরিশোধে কী পরিমাণ অর্থ খরচ করতে হবে এবং ক্রমপুঞ্জীভূত ঋণের পরিমাণ কত হবে। দেখা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে সব মিলিয়ে ২৭৮ কোটি ডলার ঋণ পরিশোধ করতে হবে। ২০২৯-৩০ অর্থবছরে ঋণ পরিশোধে সর্বোচ্চ ৫১৫ কোটি ডলার খরচ হবে। এরপর ঋণ পরিশোধ কমতে থাকবে। বিশ্বব্যাংক থেকেও বলা হয়েছে, চলতি বছর বিশ্ব অর্থনীতির গতি আরও কমে যাবে। মন্দা না হলেও প্রবৃদ্ধির ধীরগতির কারণে মানুষের আয় কমে যাবে। সেই সঙ্গে মূল্যস্ফীতির হারও একেবারে কমে যাবে না। বিশ্ব অর্থনীতিতে এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশের গায়েও এর আঁচ লাগবে বলে মনে করে ইআরডি।

সর্বশেষ খবর