শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

ভোট ছাড়া এনআইডিতে ইসির সংশ্লিষ্টতা নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভোট ছাড়া এনআইডিতে ইসির সংশ্লিষ্টতা নেই

জাতীয় পরিচয়পত্র-এনআইডি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে ন্যস্ত করার যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম শুধু ভোটার বা ১৮ বছরের বেশি বয়সী নাগরিকের জন্য নয়। বরং সব নাগরিকের জন্য প্রাসঙ্গিক। ব্যাংক হিসাব খোলা, চাকরির আবেদন, ইউটিলিটি সংযোগ, সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির অধীন বিভিন্ন ভাতার আবেদন, খাস জমিপ্রাপ্তির আবেদনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এনআইডি ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এর মধ্যে ভোটার হওয়ার বিষয় মাত্র একটি। অন্যান্য ক্ষেত্রে এনআইডি ব্যবহারের বিষয়ে ইসির কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। গতকাল স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের ২১তম অধিবেশন শুরু হয়। এ সময় টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের লিখিত প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রমটি পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই নির্বাহী বিভাগের অধীনে হয়ে থাকে। বাস্তবতার নিরীখে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এটি নির্বাহী বিভাগের অধীনে হওয়া উচিত। এ কারণে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে আনার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

২০০৭ সালে একটি ত্রুটিমুক্ত ভোটার তালিকা তৈরির জন্য সেনাবাহিনীর অধীনে একটি প্রকল্প নেওয়া হয়। ওই প্রকল্পের বাইপ্রোডাক্ট হিসেবে জাতীয় পরিচয়পত্র কার্যক্রমটি শুরু হয়। এটি ছিল সাময়িক পদক্ষেপ। এখন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রমের ব্যপ্তি অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ভেজাল ওষুধবিরোধী অভিযান নিয়মিত চলছে : সরকারি দলের এম আবদুল লতিফের লিখিত প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ওষুধ মানুষের জীবন রক্ষাকারী একটি অতি প্রয়োজনীয় উপাদান। নকল ওষুধ উৎপাদন ও বিপণন দেশের আইনে একটি গুরুতর অপরাধ। ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক প্রতিষ্ঠান বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান যাতে নকল ও ভেজাল ওষুধ তৈরি ও বিপণন করতে না পারে, সে লক্ষ্যে ওষুধ প্রশাসন এবং স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

চুরি, ছিনতাই প্রতিরোধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে : সরকারদলীয় সদস্য মোরশেদ আলমের লিখিত প্রশ্নের জবাবে স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, মাদকের বিস্তার রোধে সংশ্লিষ্ট অপরাধীদের আইনের আওতায় আনাসহ চুরি, ছিনতাই প্রতিরোধ ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। চুরি, ছিনতাই ও মাদক পরিবহন বন্ধে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টসহ বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন করে তল্লাশি অভিযান অব্যাহত আছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তি ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করে জননিরাপত্তা নিশ্চিন্তে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। ঢাকাসহ সারা দেশে মাদকের বিস্তার রোধকল্পে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশসহ আইনশৃঙ্খল রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে চুরি, ছিনতাই, মাদক ইত্যাদির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অপরাধমূলক কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

সর্বশেষ খবর