মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

মজুদ গ্যাস ১১ বছরের

নিজস্ব প্রতিবেদক

মজুদ গ্যাস ১১ বছরের

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সংসদে জানিয়েছেন, দেশে মজুদ গ্যাস দিয়ে প্রায় ১১ বছর বাংলাদেশের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত দেশে মজুদ গ্যাসের পরিমাণ ৯ দশমিক শূন্য ৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ)। এ ছাড়া চলতি বছরের জুনে ভারত থেকে পাইপলাইনে বাংলাদেশে ডিজেল আমদানির কমিশনিং কাজকর্ম শুরু হবে বলেও জানান তিনি। স্পিকার ড শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের ২১তম অধিবেশনে গতকালের বৈঠকে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী ও এম আবদুল লতিফের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান। নুরুন্নবী চৌধুরীর লিখিত প্রশ্নে নসরুল হামিদ বলেন, সর্বশেষ গত বছরের ১ জুলাই প্রাক্কলন অনুযায়ী দেশে মোট উত্তোলনযোগ্য প্রমাণিত ও সম্ভাব্য মজুদ (২পি) ২৮ দশমিক ৫৯ টিসিএফ। শুরু থেকে ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত দেশে ক্রমপুঞ্জিত গ্যাস উৎপাদনের পরিমাণ প্রায় ১৯ দশমিক ৫৩ টিসিএফ। সে হিসাবে ২০২২ সালের ১ জুলাই পর্যন্ত উত্তোলনযোগ্য অবশিষ্ট মজুদের (২পি) পরিমাণ ৯ দশমিক ৬ টিসিএফ। দেশীয় গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে দৈনিক গড়ে প্রায় ২ হাজার ২৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন হচ্ছে। সে হিসাবে অবশিষ্ট মজুদকৃত গ্যাস দ্বারা প্রায় ১১ বছর বাংলাদেশের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। তবে নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধানের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

জুনে পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে ডিজেল আমদানি শুরু : সরকারি দলের সদস্য এম আবদুল লতিফের লিখিত প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, চলতি বছর জুন মাস নাগাদ পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে ডিজেল আমদানির কার্যক্রম শুরু হবে।

এ সময় তিনি জানান, ভারতের নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড (এনআরএল) থেকে ২০১৬ সাল থেকে রেল ওয়াগনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানি করা হচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে ডিজেল আমদানির লক্ষ্যে প্রায় ১৩১ দশমিক ৫ কিলোমিটার (বাংলাদেশ অংশে ১২৬.৫ কিলোমিটার এবং ভারত অংশে ৫.০ কিলোমিটার) দীর্ঘ ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন (আইবিএফপিএল) নির্মাণ করা হয়েছে। এ পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানির জন্য প্রি-কমিশনিং কার্যক্রম চলমান রয়েছে। চলতি বছর জুন নাগাদ এ পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানির কমিশনিং কার্যক্রম তথা পরীক্ষামূলকভাবে ডিজেল আমদানি শুরু হবে বলে আশা করা যায়।

চলতি বছর দেশে বিদ্যুতের চাহিদা ১৫ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট : জাতীয় পার্টির এমপি শামীম হায়দার পাটোয়ারীর লিখিত প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, ২০২১-২২ অর্থবছরে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল প্রায় ১৪ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট। ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদার পরিমাণ বেড়ে প্রায় ১৫ হাজার ৫০০ মেগাওয়াটে দাঁড়াবে। তিনি জানান, বর্তমানে দেশে বিদ্যুৎ উদপাদন ক্ষমতা ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ ২৬ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট। এর মধ্যে আমদানিসহ গ্রিডভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৩ হাজার ৪৮২ মেগাওয়াট, ক্যাপটিভ ২ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট এবং অফগ্রিড নবায়নযোগ্য জ্বালানি ৪১৮ মেগাওয়াট। তবে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ১৪ হাজার ৭৮২ মেগাওয়াট বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। তবে পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকার কাজ করছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর