শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

বান্দরবানে কবর খুঁড়ে পাওয়া যায়নি জঙ্গির লাশ

বান্দরবান প্রতিনিধি

বান্দরবানের দুর্গম লুংয়ংমুয়াল পাড়া এলাকায় কবর খুঁড়ে এক জঙ্গির লাশ উদ্ধার করতে গিয়ে খালি হাতে ফিরেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। সেখানে একটি কম্বল ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায়নি।

গত ১১ জানুয়ারি র‌্যাবের অভিযানে রুমা ও থানচি থেকে ৫ জঙ্গি গ্রেফতার হয়। এর মধ্যে ২ জঙ্গি পুলিশ রিমান্ডে তাদের সঙ্গে থাকা আমিনুল ইসলাম ওরফে আল আমিন নামে আরেক জঙ্গিকে সেখানে দাফনের তথ্য দেয়। এরই ভিত্তিতে আদালতের নির্দেশে র‌্যাব ও পুলিশ কবর খুঁড়ে ওই জঙ্গির লাশ উদ্ধারে অভিযান শুরু করে। এ সময় নিহত জঙ্গি আল আমিনের বাবা নুর হোসেনও ছিলেন। সূত্র জানায়, রবিবার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে র‌্যাব ও পুলিশ সদস্যরা দুর্গম লুংয়ংমুয়াল পাড়ায় যায়। ওই সময় তাদের সঙ্গে থাকা ২ জঙ্গির দেখিয়ে দেওয়া স্থানে কবর খুঁড়ে কথিত জঙ্গির লাশ পাওয়া যায়নি। তবে র‌্যাবের ধারণা তারা সেখানে পৌঁছার আগেই অন্য কোনো জঙ্গি সংগঠন অথবা পার্বত্য চট্টগ্রামে নব্য বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট’ বা ‘কেএনএফ’ কবর থেকে লাশ তুলে নিয়ে গেছে। লুংয়ংমুয়াল পাড়ার অদূরে ‘কেএনএফ’ এর একটি অস্থায়ী ক্যাম্প দেখে সংশ্লিষ্টদের এমন ধারণা জন্মেছে। স্থানীয়রা এটিকে ‘কেএনএফ’ এর ‘জর্দান’ ক্যাম্প বলে উল্লেখ করেছে। র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, অভিযানের সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে রুমা উপজেলার নির্বাহী অফিসার মামুন শিবলী এবং রুমা থানার ৩ পুলিশ সদস্য তাদের সঙ্গে ছিলেন। কয়েক মাস আগে কুমিল্লা থেকে আমিনুল ইসলাম ওরফে আল আমিন নামে এক ব্যক্তি স্বেচ্ছায় নিখোঁজ হন। অজ্ঞাত কোনো কারণে আল আমিনকে হত্যা করে সেখানে কবরস্থ করা হতে পারে। তিনি বলেন, র‌্যাবের সঙ্গে থাকা কিশোর জঙ্গি শিথিল (১৭) আল আমিনের কবর দেখিয়ে দেয়। রুমা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামুন শিবলী গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, সেখানে সামান্য কিছু আলামত পাওয়া গেছে। তবে এসব আলামত দেখে ঘটনার আসল রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব নয়।

রুমা থানার ওসি আলমগীর হোসেন জানান, রুমা উপজেলার রেমাক্রি-প্রাংশা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডভুক্ত লুংয়ংমুয়াল পাড়া থেকে কিছুটা দূরে কথিত ওই জঙ্গির কবরের অবস্থান। তবে কবর খুঁড়ে লাশের পরিবর্তে একটি কম্বল পাওয়া গেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ এবং একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের যোগাযোগ নেটওয়ার্ক ভেঙে দিতে গত ৩ মাস ধরে বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি, থানচি, আলীকদম এবং রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার কয়েকটি অঞ্চলে সেনাবাহিনীর সহায়তায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

 

সর্বশেষ খবর