রাশিয়া জেনেশুনে নিষেধাজ্ঞায় থাকা জাহাজের নাম পরিবর্তন করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের পণ্য পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, আমাদের কাছে এটা খুব তাজ্জব লেগেছে। এটি আমরা আশা করিনি। আমরা আশা করব রাশিয়া এখন নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত জাহাজে ওই মালামাল পাঠাবে। আমরা এ নিয়ে কাজ করছি।
গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রূপপুরের মালামাল নিয়ে রাশিয়ার জাহাজের ফিরে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, আমরা রাশিয়াকে বলেছি, তাদের যে ৬৯টি জাহাজ নিষেধাজ্ঞায় আছে, সেসব জাহাজে মালামাল না পাঠাতে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের ভালো সম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাশিয়ার হাজার হাজার জাহাজ আছে। তবে যেসব জাহাজে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া আছে, সেসব জাহাজ আমরা নিতে চাই না। মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আমরা খুব সতর্কতা অবলম্বন করেছি। আমরা চাইছি যেন এই সংঘাত বন্ধ হয়। এ বিষয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে আলাপ চলছে। মিয়ানমার সরকারের সক্ষমতা অনেক দুর্বল। সেটা নিয়ে একটা সমস্যা আছে। আর আমরা তো কোনো বিদ্রোহী দলের সঙ্গে আলাপ করি না। তবে আমরা আমাদের এলাকা সংরক্ষণ করছি। মিয়ানমার তাদেরটা দেখছে। আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের নানা ঘটনা নিয়ে আমরা সব সময় চীনের সাহায্য চেয়ে থাকি। কারণ মিয়ানমারের ওপর চীনের যথেষ্ট প্রভাব আছে। আগে শুনতাম, পশ্চিমা অনেক কোম্পানি মিয়ানমারকে সাহায্য করে- এমনকি অস্ত্র দিয়েও। মিডিয়ার মাধ্যমে এখন তা আমরা জানতে পেরেছি। এতে আমরা খুবই মর্মাহত।
