শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

আনন্দ মোহন কলেজ ছাত্রলীগের দুই পক্ষে মারামারি

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

হলের সিট দখল নিয়ে ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার রাতে কলেজের ফজলুল হক হলে এ ঘটনা ঘটে।

হল সুপার শাহজাহান শাজু জানান, কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুস সাকিব ফজলুল হক হলের ২০৪ নম্বর কক্ষে ওঠেন। এ নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়েছে। শুনেছি কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ছাত্রলীগের এক পক্ষের নেতা আরহান খান ছোটন জানান, কলেজ ছাত্রলীগের একটি পক্ষ বর্তমান অবৈধ কমিটি মেনে নেয়নি। এসব নিয়ে আহ্বায়ক কমিটির সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। নতুন বছরে হোস্টেলে ৫০-৬০টি সিট খালি হয়েছে। ওই সিটগুলো আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক শেখ সজল ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ওমর জোর করে দখল করেছেন। এ কারণে হোস্টেলে সিট সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এ জন্য ফজলুল হক হলেও চারজনের জায়গায় পাঁচজন থাকার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিষয়টি মেনে না নিয়ে প্রতিবাদ করলে কমিটির আহ্বায়ক শেখ সজল ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ওমরের নেতৃত্বে বহিরাগতরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সাধারণ ছাত্রদের ওপর হামলা করে। হামলায় মাজাহারুল ইসলাম ফয়েজ, সোহাগ আলম, তানভীর আহমেদ, নাহিদ আলম আহত হয়েছেন। মাজাহারুল ইসলাম ফয়েজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। জানতে চাইলে কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক শেখ সজল বলেন, হোস্টেল কমিটি সিদ্ধান্ত দিয়েছেন যে ফজলুল হক হলে পাঁচজন করে থাকবে। কিন্তু ছোটন ও তার ছেলেরা হোস্টেল কমিটির সিদ্ধান্ত মানছে না। এদিকে কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুস সাকিবকে ফজলুল হক হলের ২০৪ নম্বর রুম বরাদ্দ দেওয়া হয়। সাকিব রুমে যেতেই সোহাগ আলম, তানভীর আহমেদ, নাহিদ তাকে মারধর করেন। পরে আমরা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গেলে ওরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। পরে সেখান থেকে আমরা চলে আসি। কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ বলেন, হলের সিট নিয়েই দুই পক্ষের মারামারি হয়েছে। বর্তমানে পরিবেশ শান্ত রয়েছে।

সর্বশেষ খবর