শনিবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

জনগণের আশা পূরণে সংসদ কার্যকর ভূমিকা রাখছে : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

জনগণের আশা পূরণে সংসদ কার্যকর ভূমিকা রাখছে : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারের জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় জাতীয় সংসদ অনন্য ভূমিকা পালন করছে।

প্রধানমন্ত্রী গতকাল স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের ৫০ বছর পূর্তি ও সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির স্মারক বক্তৃতার ওপর আলোচনার প্রস্তাব উপস্থাপন করে বক্তব্য দিচ্ছিলেন। কার্যপ্রণালি বিধির ১৪৭ এ অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন। এর আগে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সংসদে বিশেষ অধিবেশনে স্মারক বক্তৃতা দেন।

সংসদে উপস্থাপিত প্রস্তাবে বলা হয়, ‘বালাদেশ জাতীয় সংসদের ৫০ বছর পূর্তির এই মাহেন্দ্রক্ষণে সংসদের অভিমত এই যে, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সংসদীয় গণতন্ত্রের কেন্দ্রবিন্দুরূপে জনগণের জীবনমান উন্নয়ন এবং আশা আকাংখার সফল বাস্তবায়নে অব্যাহতভাবে কাযকর ও সক্রিয় ভূমিকা রাখবে এবং এর মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র হবে সুসংহত, শোষণমুক্ত সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে, সবার জন্য সাম্য ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে, সংবিধানের এ অঙ্গীকারগুলো পূরণে আমরা সবাই একযোগে কাজ করব, গড়ে তুলব আগামীর সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা, এই হোক আমাদের প্রত্যয়’। প্রস্তাব উত্থাপনের পর স্পিকারের অনুমোদন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেন, ৭ এপ্রিল জাতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। ১৯৭৩ সালের ৭ এপ্রিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। আমরা জাতীয় সংসদের ৫০ বছরপূর্তি সুবর্ণজয়ন্তী উদ্?যাপন করছি। এই ৫০ বছরে জাতীয় সংসদের পথচলা মসৃণ ছিল না। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সামরিক ফরমান জারির মাধ্যমে সংবিধানকে ক্ষতবিক্ষত করেছে। গণতন্ত্র ও জাতীয় সংসদের ওপর আঘাত হেনেছে। সংবিধানের ৪ মূলনীতিকে আঘাত করা হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচারের পথ বন্ধ করার জন্য ১৯৭৯ সালে দ্বিতীয় সংসদে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে কালো আইনে পরিণত করা ছিল সংসদের ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। পরবর্তীতে সপ্তম জাতীয় সংসদে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিলের মাধ্যমে ইতিহাসের নির্মম ও নিকৃষ্টতম ১৫ আগস্টের বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যার বিচারের পথ সুগম করা হয়। সরকারের জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় মহান জাতীয় সংসদ অনন্য ভূমিকা পালন করছে। সংসদের স্থায়ী কমিটিগুলো এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সরকারের অধিকতর স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সংসদের স্থায়ী কমিটিগুলোর চেয়ারম্যান মন্ত্রীর পরিবর্তে সংসদ সদস্যদের নির্বাচিত করা হচ্ছে। বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের থেকে স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যানও নির্বাচিত করা হচ্ছে। কমনওয়েল্থ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশন (সিপিএ) ও ইন্টারন্যাশনাল পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ) দুটি বৈশ্বিক সংস্থা পার্লামেন্টারি এপেক্স বর্ডি প্রদান হিসেবে ২০১৪ থেকে ২০১৭ সালে দশম জাতীয় সংসদের নেতৃত্বদান বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে অধিষ্ঠিত এক অনন্য উচ্চতায়। দেশের জন্য বয়ে এনেছে এক বিরল সম্মান, এ অর্জন ছিল বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রতি আন্তর্জাতিক পরিম লের আস্থার প্রতীক। প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব উপস্থাপনের পর প্রথম ও চলতি জাতীয় সংসদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বক্তব্য শুরু করে অকস্মাৎ শেষ না করে বলেন, আমি বক্তব্য রাখতে পারছি না। আমাকে বাসায় যেতে হবে। এরপর বক্তব্য রাখেন প্রবীণ পার্লামেন্টারিয়ান আমির হোসেন আমু, সভাপতিম লীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম।

সর্বশেষ খবর