মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা
সংসদে সমাপনী ভাষণ

কড়া বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

প্রথম আলো আওয়ামী লীগ, গণতন্ত্র ও জনগণের শত্রু ♦ গণতন্ত্রের সবক দেওয়া যুক্তরাষ্ট্র নিজেরাই মানবাধিকার লঙ্ঘন করে বঙ্গবন্ধুর খুনিকে ফেরত দেয় না, তারা চাইলে যে কোনো দেশের ক্ষমতা ওল্টাতে পাল্টাতে পারে ♦ আরেকজন সুদখোরকে জিজ্ঞেস করে না তার মিলিয়ন ডলার কোথা থেকে এলো

নিজস্ব প্রতিবেদক

কড়া বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, আমেরিকা চাইলে যে কোনো দেশের ক্ষমতা ওল্টাতে-পাল্টাতে পারে। তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে, আবার দুর্নীতিতে সাজাপ্রাপ্তদের পক্ষ হয়েই তারা ওকালতি করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ইচ্ছামতো সরকার ভাঙাগড়া করতে পারছেন না বলেই অনেকে ৭০ অনুচ্ছেদ পরিবর্তনের কথা বলছেন। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সরকারের স্থায়িত্ব ও উন্নয়ন এনে দিয়েছে। এ ছাড়া প্রথম আলোকে আওয়ামী লীগ, গণতন্ত্র ও জনগণের শত্রু হিসেবে আখ্যায়িত করেন তিনি।

জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে গতকাল বিশেষ অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। পরে সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী  উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উত্থাপিত প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। প্রস্তাবে বলা হয় : ‘বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ৫০ বছর পূর্তির এই মাহেন্দ্রক্ষণে সংসদের অভিমত এই যে, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সংসদীয় গণতন্ত্রের কেন্দ্রবিন্দুরূপে জনগণের জীবনমান উন্নয়ন এবং আশা-আকাক্সক্ষার সফল বাস্তবায়নে অব্যাহতভাবে কার্যকর ও সক্রিয় ভূমিকা রাখবে। এর মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র হবে সুসংহত, শোষণমুক্ত সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে, সকলের জন্য সাম্য ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে, সংবিধানের এ অঙ্গীকারসমূহ পূরণে আমরা সকলে একযোগে কাজ করব, গড়ে তুলব আগামীর সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা, এই হোক আমাদের প্রত্যয়।’

বাংলাদেশের বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে দেশটা কথায় কথায় গণতন্ত্রের সবক দেয়। আমাদের বিরোধী দল থেকে শুরু করে কিছু কিছু লোক তাদের কথায় খুব নাচন-কোদন করছেন, উঠবস করছেন, উৎফুল্ল হচ্ছেন। হ্যাঁ, তারা (যুক্তরাষ্ট্র) যে কোনো দেশের ক্ষমতা ওল্টাতে পারে, পাল্টাতে পারে। বিশেষ করে মুসলিম দেশগুলো তো আরও বেশি কঠিন অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আরব স্প্রিং (আরব বসন্ত), ডেমোক্র্যাসির কথা বলে ঘটনা ঘটাতে ঘটাতে এখন নিজেরা নিজেদের মধ্যে প্যাঁচে পড়ে গেছে। এরপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে সারা বিশ্বই অর্থনৈতিক মন্দার কবলে পড়েছে। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে তারা। এখন দেখা যায়, দুর্নীতিতে সাজাপ্রাপ্তদের পক্ষ হয়েই তারা ওকালতি করে যাচ্ছে। আর গণতন্ত্রকে বাদ দিয়ে এমন একটা সরকার আনতে চাচ্ছে, যার গণতান্ত্রিক কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। সেটা অগণতান্ত্রিক ধারা। আর সেই ক্ষেত্রে আমাদের কিছু বুদ্ধিজীবী, সামান্য কিছু পয়সার লোভে এদের তাঁবেদারি করে, পদলেহন করে। এ সময় যুক্তরাষ্ট্র সফরে একটি বৈঠকের প্রসঙ্গ তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, আমেরিকায় যখন প্রথমবার যাই, সেখানকার আন্ডার-সেক্রেটারির সঙ্গে আমার মিটিং হয়েছিল। বলেছিলাম, আমি একটি মনুমেন্ট দেখে এসেছি। সেখানে লেখা আছে, গভর্নমেন্ট অব দ্য পিপল, ফর দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল। আমি এমন একটি দেশ থেকে এসেছি, সে দেশটি হচ্ছে গভর্নমেন্ট অব দ্য আর্মি, বাই দ্য আর্মি, ফর দ্য জেনারেল। বলেছিলাম, আমেরিকা গণতন্ত্রচর্চা করে তাদের আটলান্টিকের পাড় পর্যন্ত। এটা যখন পার হয়ে যায়, তখন কি আপনাদের গণতন্ত্রের সংজ্ঞাটা বদলে যায়? কেন আপনারা একটা মিলিটারি ডিক্টেটরকে সমর্থন দিচ্ছেন?

এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর খুনিকে ফেরত না দেওয়ার বিষয়টি সংসদে তুলে ধরে বলেন, ১৫ আগস্টে যারা হত্যা করেছে, সেই খুনি রাশেদ (রাশেদ চৌধুরী) আমেরিকায় আশ্রয় নিয়ে আছে। সেখানে যতটা প্রেসিডেন্ট এসেছে, সবার কাছে আমি আবেদন করেছি। এই খুনি সাজাপ্রাপ্ত আসামি, তাকে আপনারা আশ্রয় দেবেন না। সে শিশু হত্যাকারী, নারী হত্যাকারী, রাষ্ট্রপতির হত্যাকারী, মন্ত্রীর হত্যাকারী ও মানবতা লঙ্ঘনকারী। তাকে ফেরত দেন। কই তারা তো তাকে ফেরত দিচ্ছে না। খুনিদের লালনপালন করেই রেখে দিচ্ছে। তিনি বলেন, তারা গণতন্ত্রের জ্ঞান দিচ্ছে। কথায় কথায় ডেমোক্র্যাসি ও হিউম্যান রাইটসের কথা বলছে। তাদের দেশের অবস্থাটা কী? কয়েকদিন আগে আমেরিকার টেনেসি রাজ্যে তিনজন কংগ্রেসম্যান, এই তিনজনের অপরাধ হচ্ছে, তারা অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের জন্য আবেদন করেছিল। তারা ডেমোনস্ট্রেশন দিয়েছিল, এভাবে যার তার হাতে অস্ত্র থাকা ও গুলি করে শিশু হত্যা বন্ধ করতে হবে। এটাই ছিল তাদের অপরাধ। আর এ অপরাধে দুজনকে কংগ্রেস থেকে এক্সপেলড করা হয়। জাস্টিস জন ও জাস্টিস পিয়ারসন। একজন সাদা চামড়ার ছিল বলে বেঁচে যান। তাদের অপরাধ হলো, তারা কালো চামড়া। সে কারণে তাদের সিট আনসিট হয়ে যায়। সেখানে মানবাধিকার কোথায়? গণতন্ত্র কোথায়?

জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য দলের সদস্যদের সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধনের দাবি প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে অনেকেরই আপত্তি। যারা এ আপত্তির কথা তুলছেন, তাদের বোধহয় অভিজ্ঞতার অভাব আছে। এই ৭০ অনুচ্ছেদটা দেশে সরকারের একটা স্থায়িত্ব এনে দিয়েছে। যার ফলে দেশটা উন্নতি করতে সক্ষম হয়েছে। তিনি বলেন, নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ফ্লোর ক্রস করার কারণে ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট সরকার টিকতে পারেনি। এর আগে ১৯৪৬ সালেও ভারতবর্ষের নির্বাচনে একই খেলা হয়েছিল। যার কারণে আমাদের পূর্ব বাংলাটা যেভাবে গঠন হওয়ার কথা, সেভাবে হয়নি। এটা ১৯৫৬ সালের নির্বাচনেও হয়েছিল। পরে মার্শাল ল এসে ক্ষমতা দখল করে। কাজেই এ ৭০ অনুচ্ছেদটাই একটি সুরক্ষা দেয় গণতন্ত্রকে সুসমুন্নত করতে, সংহত করতে। আর এর ?সুফল জনগণ পেতে পারে। জানি না, কেন কিছু কিছু সদস্য এর ওপর এত রাগ। কারণ হচ্ছে, সরকার ভাঙতে-গড়তে বা খেলাটা খেলতে তারা সক্ষম হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী দৈনিক প্রথম আলোর বহুল বিতর্কিত প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে বলেন, একটা ছোট্ট শিশুর হাতে মাত্র ১০ টাকা দিয়ে, তার মুখ থেকে কিছু কথা বলানো; ভাত মাছ মাংসের স্বাধীনতা চাই; মাত্র সাত বছরের শিশু তার মুখ থেকে বলানো। একটা স্বানামধন্য পত্রিকা, খুবই পপুলার, নাম তার প্রথম আলো, কিন্তু বাস করে অন্ধকারে। প্রথম আলো আওয়ামী লীগের শত্রু, প্রথম আলো গণতন্ত্রের শত্রু, দেশের মানুষের শত্রু। প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলার সময় সংসদ সদস্যরা টেবিল চাপড়ে ‘শেইম শেইম’ ধ্বনি করেন। তিনি আরও বলেন, অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলি এরা এ দেশকে কখনো স্থিতিশীল থাকতে দিতে চায় না। ওয়ান-ইলেভেনে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের ভূমিকার সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৭ সালে যখন ইমারজেন্সি হয়, তখন তারা উৎফুল্ল। দুটি পত্রিকা আমাদের বিরুদ্ধে আদাজল খেয়ে নেমে গেল, বাহবা কুড়াল। আর তার সঙ্গে আছে একজন সুদখোর, এখন তিনি আমেরিকায়।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, আর একজন সুদখোর আছে, সে আবার বড় প্রিয় আমেরিকার। আমেরিকা একবারও জিজ্ঞাসা করে না একটা ব্যাংক, গ্রামীণ ব্যাংক- এটি তো একটি সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান। সরকারের বেতন তুলত যে এমডি, সে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার কোথায় পেল? যে আমেরিকার মতো জায়গায় সামাজিক ব্যবসা করে, বিনিয়োগ করে দেশে-বিদেশে। এই অর্থ কোথা থেকে আসে? এটা কি জিজ্ঞাসা করেছে কখনও তারা? জিজ্ঞাসা করেনি। সংসদ নেতা বলেন, এদের কাছ থেকে দুর্নীতির কথা শুনতে হয়, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিহাদ, মানবতার কথা শুনতে হয়। যারা গরিবের রক্তচোষা টাকা পাচার করে বিদেশে বিনিয়োগ করে, নিজেরা শত কোটি টাকার মালিক হয়ে, আবার আন্তর্জাতিক পুরস্কারও পেয়ে যায়! আবার এসব লোক এ দেশে গণতন্ত্র ধ্বংস করার চেষ্টা করে। মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, দেশে এখন অনেকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে। এখন দেখা যাচ্ছে, দুর্নীতিতে সাজাপ্রাপ্ত... এসব বুদ্ধিজীবী তাদের হয়ে কথা বলছে। তারা গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে দিতে চায় না। সামান্য কিছু অর্থের বিনিময়ে এরা তাদের পদলেহন করে। দেশে গণতান্ত্রিক ধারার বাইরে কিছু হলে তাদের লাভ। তাদের দর বাড়ে, এরা সেটাই চেষ্টা করে। এদের মুখে দুর্নীতি মানায় না।

দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ডের বিবরণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মাত্র ১৪ বছরের মধ্যে বিরাট পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে। এর পরও কেউ যদি উন্নতি না দেখে, এর চেয়ে দুঃখজনক আর কিছুই নেই। তবে যা কিছুই করি না কেন, তেলা মাথায় তেল দেওয়া না। জনগণের জন্য করি, সাধারণ মানুষের জন্য করি, গ্রামের মানুষের জন্য করি। গ্রামের মানুষ এখন ভালো আছে, এটাই সবচেয়ে বড় কথা।

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, বলেছিলাম ঘরে ঘরে আলো জ্বালাব। ঘরে ঘরে আলো জ্বালাতে সক্ষম হয়েছি। যদিও ইউক্রেন যুদ্ধে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই সবাইকে বলব কৃচ্ছ্রসাধন করতে। অল্প ব্যয় করতে। কারণ বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে অনেক খরচ করতে হয়। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত সময়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল ৩ হাজার ৮৮২ মেগাওয়াট, বর্তমানে ২৫ হাজার ২২৭ মেগাওয়াট, আট গুণ বেড়েছে। বিএনপি আমলে বিদ্যুৎ সুবিধাভোগী ছিল ২৮ শতাংশ। ২০২০ সালে শতভাগ হয়েছে। এটা উন্নতি কি না সেটা দেশবাসী বিবেচনা করবে। তিনি বলেন, আজকে গ্রাম এবং শহরের পার্থক্য কমে গেছে। গ্রাম এবং শহরের মাঝে আরেকটি শহর গড়ে উঠছে। প্রত্যেকটি গ্রামে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করেছি। আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি মানুষের ভাগ্য গড়তে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, জাতির পিতা আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে আজকে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। এই উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে ২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত হবে এবং ভবিষ্যতে এগিয়ে যাবে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ স্মার্ট বাংলাদেশ হবে, যে বাংলাদেশ হবে সোনার বাংলাদেশ।

শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সমান পদক্ষেপে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। এটাই আমাদের কথা। যখন ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলেছিলাম, অনেকই নাক সিটকিয়েছিল। বলেছিল, এটা আবার কী ডিজিটাল বাংলাদেশ। এখন সে ডিজিটাল ব্যবস্থা ব্যবহার করে আমাদের বিরুদ্ধে নানা রকম কুৎসাও রটায়। আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, আমাদের বিরোধীদলীয় উপনেতা বলেছেন উনি স্মার্ট বাংলাদেশটা বোঝেন নাই। তাঁকে বোঝাই। আমাদের জনগোষ্ঠী প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন আধুনিক জনগোষ্ঠী হিসেবে গড়ে উঠছে। তার জন্য তাদের প্রশিক্ষণের সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। এটা প্রশ্নোত্তরেও অনেকবার বলেছি। আমাদের অর্থনীতি হবে স্মার্ট অর্থনীতি। সবই হবে প্রযুক্তিনির্ভর।

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর