বৃহস্পতিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

চীনকে পেছনে ফেলে জনসংখ্যায় শীর্ষে ভারত

প্রতিদিন ডেস্ক

জনসংখ্যায় চীনকে পেছনে ফেলে শীর্ষস্থান দখলে নিয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। চলতি বছরের মাঝামাঝি দেশটির জনসংখ্যা চীন থেকে ২৯ লাখ বেশি হয়েছে বলে বুধবারের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে জাতিসংঘ। খবর রয়টার্স। জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) ‘স্টেট অব ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিপোর্ট-২০২৩’ অনুসারে ভারতের জনসংখ্যা আনুমানিক ১৪২ কোটি ৮৬ লাখ। পক্ষান্তরে চীনের জনসংখ্যা ১৪২ কোটি ৫৭ লাখ। রিপোর্ট অনুসারে যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা ৩৪ কোটি। তথ্যগুলো ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ের বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। জাতিসংঘের পূর্ববর্তী তথ্য ব্যবহার করে জনসংখ্যা বিশেষজ্ঞরা অনুমান করেছেন ভারত এই মাসে চীনকে ছাড়িয়ে যাবে। তবে বৈশ্বিক সংস্থার সর্বশেষ প্রতিবেদনে পরিবর্তনটি কখন ঘটবে তার তারিখ নির্দিষ্ট করেনি। জাতিসংঘের জনসংখ্যা কর্মকর্তারা বলেছেন, ভারত ও চীন থেকে আসা তথ্য সম্পর্কে ‘অনিশ্চয়তার’ কারণে তারিখ নির্দিষ্ট করা সম্ভব হয়নি। বিশেষ করে যেহেতু ভারতের শেষ আদমশুমারি ২০১১ সালে পরিচালিত হয়েছিল এবং ২০২১ সালে পরবর্তী জনশুমারিটি পৃথিবীব্যাপী বিলম্বিত হয়েছে। বিশ্বব্যাপী ৮০০ কোটির বেশি জনসংখ্যার মধ্যে যদিও ভারত ও চীনের জনসংখ্যা এক-তৃতীয়াংশের বেশি হবে। তবে উভয় এশিয়ান জায়ান্টের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার মন্থর হয়েছে। বিশেষ করে ভারতের তুলনায় চীনের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার অনেক কমেছে। গত বছর চীনের জনসংখ্যা ছয় দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো হ্রাস পেয়েছে। ঘটনাকে ঐতিহাসিক মোড় বলে আখ্যা দিয়েছেন বিশ্লেষকরা। যার ফলে দেশটির নাগরিক সংখ্যা দীর্ঘ সময়ের জন্য কমে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর প্রভাব দেশটির অর্থনীতি এবং বিশ্বের জন্য মারাত্মক হবে। সরকারি তথ্য অনুসারে ভারতের বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধি ২০১১ সাল থেকে গড়ে ১ দশমিক ২ শতাংশ হয়েছে। যা আগের ১০ বছরে ১ দশমিক ৭ শতাংশ ছিল। ইউএনএফপিএ ইন্ডিয়ার প্রতিনিধি আন্দ্রেয়া ওয়াজনার একটি বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ভারতীয় সমীক্ষার ফলাফলগুলো থেকে বোঝা যায়, জনসংখ্যার উদ্বেগ সাধারণ জনগণের একটি বড় অংশে ছড়িয়ে পড়েছে। তবুও জনসংখ্যার বিষয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করা বা শঙ্কা তৈরি করা উচিত নয়। পরিবর্তে যদি ব্যক্তিগত অধিকার এবং পছন্দগুলো সমুন্নত থাকে তবে তাদের অগ্রগতি, উন্নয়ন এবং আকাক্সক্ষার প্রতীক হিসেবে দেখা উচিত।’

 

সর্বশেষ খবর