আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগ এই জনপদের সুদীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের পথপ্রদর্শক। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস থেকে আওয়ামী লীগকে যারা বিচ্ছিন্ন করতে চেয়েছে তারাই এ দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এক বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ব্যক্তি স্বার্থে ও ক্ষমতার লোভে আদর্শচ্যুত কতিপয় দালাল, খুনি ও স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠীকে নিয়ে বিএনপি গঠিত। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী প্রতিষ্ঠান। এমন একটি প্রতিষ্ঠানের মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যার হিসাব তুলে নিজের স্বাধীনতাবিরোধী অবস্থানকেই স্পষ্ট করেছেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, বন্দুকের নলের মুখে অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখল করেছিলেন জিয়াউর রহমান। তার হাতে জন্ম নেওয়া বিএনপি দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থেকে রাষ্ট্র কাঠামোকে বিষাক্ত করেছে। যার প্রতিক্রিয়া ও ক্ষত এখনো আমাদের সমাজ-রাষ্ট্র বয়ে বেড়াচ্ছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকারের রাষ্ট্র কাঠামো বিষাক্ত নয়। বরং বিষমুক্ত স্বদেশ বিনির্মাণে বিরামহীনভাবে কাজ করে চলেছে। তিনি বলেন, রাষ্ট্র কাঠামোর সর্বত্রই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী আদর্শ লালন-পালন করেছে বিএনপি। প্রতিষ্ঠিত করেছে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তারা পরিণত হয়েছে বিষবৃক্ষে। একে সমূলে উৎপাটন করে আগামী প্রজন্মের জন্য অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল, উন্নত-সমৃদ্ধ, নিরাপদ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকার বদ্ধপরিকর। তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী, বঙ্গবন্ধুর খুনিচক্র, ভুঁইফোড়, দালাল রাজনীতিবিদ ও কালোবাজারিদের ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফরম হিসেবে সৃষ্টি হয় বিএনপির। তাদের হাতে এ দেশের মুক্তিযোদ্ধারা অবর্ণনীয় নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হন। মুক্তিযোদ্ধারা তখন নিজেদের পরিচয় দিতেও ভয় পেতেন। তথাকথিত সেনা অভ্যুত্থানের মিথ্যা অভিযোগে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর শত শত মুক্তিযোদ্ধা সেনা অফিসার এবং শত শত মুক্তিযোদ্ধা, সৈনিককে ফাঁসি দিয়ে ও ফায়ারিং স্কোয়াডে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে জিয়াউর রহমান। বিএনপির মুখমণ্ডলে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নির্যাতনের কলঙ্কের কালিমা লেগে আছে। সেই কালিমা এবং স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির সঙ্গে তাদের সহ-অবস্থানের ঘটনা আড়াল করতেই মির্জা ফখরুল আওয়ামী লীগে মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিভ্রান্তি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছেন।
