শনিবার, ১৩ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা
মেট্রোরেলের নিচে অপরিকল্পিত রাস্তা

চার লেন সড়কের সুবিধা নষ্ট ৮০০ মিটার সিঙ্গেল লেনে

শামীম আহমেদ

চার লেন সড়কের সুবিধা নষ্ট ৮০০ মিটার সিঙ্গেল লেনে

উত্তরার দিয়াবাড়ী থেকে মিরপুর ডিওএইচএস পর্যন্ত মেট্রোরেলের নিচে অপরিকল্পিতভাবে সংযোগসড়ক নির্মাণে নষ্ট হয়ে গেছে চার লেন সড়কের সুবিধা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের সুবিধা এরই মধ্যে ভোগ করছে রাজধানীবাসী। একই সঙ্গে উত্তরা দিয়াবাড়ী থেকে মিরপুর ডিওএইচএস পর্যন্ত মেট্রোরেলের নিচ দিয়ে সাড়ে ৪ কিলোমিটার সংযোগসড়ক নির্মাণ করায় কমে গেছে মিরপুর থেকে উত্তরা-আবদুল্লাহপুরের দূরত্ব। মিরপুরের সিরামিক মোড় থেকে আবদুল্লাহপুর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটারের পথ নেমে এসেছে ৯ কিলোমিটারে। তবে মাত্র ৮০০ মিটার সিঙ্গেল লেনের কারণে চার লেনবিশিষ্ট সংযোগসড়কটির প্রকৃত সুফল পাচ্ছে না মানুষ। সড়কের বেশির ভাগ অংশ ফাঁকা থাকলেও ৮০০ মিটার ওই সরু অংশে যানজট লেগেই থাকছে। এক মিনিটের ওই পথটুকু পাড়ি দিতে কখনো কখনো লেগে যায় ৩০ মিনিটের বেশি।

সরেজজিনে দেখা যায়, মেট্রোরেলকে কেন্দ্র করে বদলে গেছে উত্তরা দিয়াবাড়ী এলাকা। চারদিক থেকে সড়ক এসে মিলেছে দিয়াবাড়ীতে। সেখানেই মেট্রোরেলের উত্তরা উত্তর স্টেশন (স্টেশন-১)। স্টেশনটির নিচের সড়ক দিয়ে বিভিন্ন দিকে যাতায়াতের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে ১০টি লেন। এর পরে উত্তরা সেন্টার স্টেশন। নিচে আট লেনের সড়ক। তার পরে উত্তরা দক্ষিণ স্টেশন। সেখানেও নিচে আট লেনের সড়ক। স্টেশনগুলোর মাঝের সড়ক চার লেনের। তবে উত্তরা দক্ষিণ স্টেশনের পর মেট্রোরেলের ১১৬ নম্বর পিলার থেকে ১৩৮ নম্বর পিলার (মিরপুর ডিওএইচএস) পর্যন্ত সড়কটি এক লেনের। পরে আবারও শুরু হয়েছে চার লেনের সড়ক। উভয় দিক থেকে চার লেনের সড়ক দিয়ে দ্রুতগতিতে যানবাহনগুলো এসে আটকা পড়ছে সিঙ্গেল লেনে।

ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারীরা বলছেন, মেট্রোরেলের নিচ দিয়ে সংযোগসড়কটি নির্মাণ করায় মিরপুরের সঙ্গে উত্তরার যোগাযোগ অনেক সহজ হয়ে গেছে। মিরপুর সিরামিক থেকে এয়ারপোর্ট রোড দিয়ে উত্তরা যেতে এক ঘণ্টার বেশি লাগে। সেখানে ঈদের ছুটিতে সংযোগসড়ক দিয়ে মাত্র পাঁচ-সাত মিনিটে মিরপুর থেকে উত্তরা যাওয়া গেছে। এখন লাগছে ৩৫-৪০ মিনিট। সড়কটি দিয়ে সহজে মিরপুর থেকে উত্তরা, আবদুল্লাহপুর, টঙ্গী, গাজীপুর, মিরপুর বেড়িবাঁধ, ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন এলাকায় চলে যাওয়া যেত। কিন্তু চার লেনের সড়কের অল্প কিছু অংশ সিঙ্গেল লেন হওয়ায় প্রকৃত সুফল পাওয়া যাচ্ছে না।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ওই জায়গাটা আমাদের নয়। মেট্রোরেল হওয়ার পর এখানে লেক করার কথা ছিল। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন উপলক্ষে আমরা একটা লেন করি। পরে আরও দুটি লেন করার ব্যাপারে জনদাবি ওঠে। যেহেতু রাস্তাটি পল্লবী-মিরপুরের সঙ্গে উত্তরা, টঙ্গী, গাজীপুর, বেড়িবাঁধকে যুক্ত করেছে তাই এটার গুরুত্ব অনেক বেশি। মানুষ রাস্তাটি ব্যবহার করে সহজে বিভিন্ন দিকে যাতায়াত করছে। ওই অংশটুকুর দুই পাশে যেহেতু চার লেনের সড়ক তাই রাস্তাটি ব্যবহারকারীরা চাইছেন লেন বাড়াতে। অনেকেই বিষয়টা বলেছেন। আমরা চার লেন করার ব্যাপারে প্রস্তুত আছি। এ নিয়ে আলোচনা করছি। সবুজ সংকেত পেলে কাজ শুরু করব।

সর্বশেষ খবর