বুধবার, ২৪ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

ড. ইউনূসের কর ফাঁকির মামলার রায় ৩১ মে

নিজস্ব প্রতিবেদক

দানের বিপরীতে ধার্যকৃত প্রায় ১৫ কোটি টাকা কর দাবি করে এনবিআর-এর পাঠানো নোটিস চ্যালেঞ্জ করে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ ইউনূসের করা তিনটি আয়কর রেফারেন্স মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। হাই কোর্ট শুনানি গ্রহণ শেষে আগামী ৩১ মে রায়ের দিন ধার্য করেছেন। গতকাল বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ রায়ের এই দিন ধার্য করেন। জানা গেছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ১৯৯০ সালের দানকর আইন অনুযায়ী ২০১১-২০১২ করবর্ষে মোট ৬১ কোটি ৫৭ লাখ ৬৯ হাজার টাকা দানের বিপরীতে প্রায় ১২ কোটি ২৮ লাখ ৭৪ হাজার টাকা কর দাবি করে নোটিস পাঠায়। একইভাবে ২০১২-২০১৩ করবর্ষে ৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা দানের বিপরীতে প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা দানকর দাবি করে আরেকটি নোটিস দেয় এনবিআর। এ ছাড়া ২০১৩-২০১৪ করবর্ষে ৭ কোটি ৬৫ হাজার টাকা দানের বিপরীতে প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা কর দাবি করে নোটিস দেওয়া হয়। দানের বিপরীতে কর দাবির এসব নোটিসের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ড. ইউনুস মামলা করেন। ড. ইউনূসের দাবি, আইন অনুযায়ী দানের বিপরীতে এনবিআর এই কর দাবি করতে পারে না। ২০১৪ সালে তার মামলা খারিজ করে রায় দেন কর আপিল ট্রাইব্যুনাল। পরে পৃথক তিনটি আয়কর রেফারেন্স মামলা করেন হাই কোর্টে। রেফারেন্স মামলার নম্বরগুলো হচ্ছে যথাক্রমে-১০৮/২০১৫, ১০৯/২০১৫ এবং ১১০/২০১৫। হাই কোর্ট ২০১৫ সালে প্রাথমিক শুনানি নিয়ে দানকর দাবির নোটিসের কার্যকারিতা স্থগিত করে রুল জারি করেন। এই রুলের ওপর গতকাল চূড়ান্ত শুনানি হয়। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন এবং ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। পরে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, উনি (ড. ইউনূস) বলেছেন, উনি টাকা দান করেছেন। তাই কর অব্যাহতি পাবেন। আমরা বলেছি, কর অব্যাহতির যেসব কারণ উল্লেখ করা আছে, সেগুলোর মধ্যে উনারটা পড়ে না। উনাকে দানকর দিতে হবে। আদালত শুনেছেন। আগামী ৩১ মে রায় দেবেন।

 

সর্বশেষ খবর