অর্থনীতিবিদ ও সিপিডির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেছেন, পরস্পর আস্থাহীনতা থেকে বেরিয়ে এসে অবাধ আন্তসীমান্ত বাণিজ্য নিশ্চিত করার মাধ্যমে সমৃদ্ধ দক্ষিণ এশিয়া গড়ার সুযোগ রয়েছে। তিনি গতকাল সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘১৪তম দক্ষিণ এশিয়া অর্থনৈতিক সম্মেলন’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির ভাষণ দিচ্ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুনের স্বাগত বক্তব্যে শ্রীলঙ্কার গভর্নর পি নন্দলাল বিরাসিংহ, নেপালের সাবেক গভর্নর ও অর্থমন্ত্রী যুবরাজ খাতিবাদা, পাকিস্তানের সাবেক গভর্নর ইশরাত হোসাইন, ভারতের গবেষণা প্রতিষ্ঠান আরআইএসের মহাপরিচালক শচিন চক্ররেদিসহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের প্রতিনিধি অংশ নেন। সভাপতির ভাষণে রেহমান সোবহান বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে অবাধ আন্তসীমান্ত বাণিজ্য নিশ্চিত করার মাধ্যমে এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার বিশাল সুযোগ রয়েছে। কিন্তু এ অঞ্চলের মধ্যে মুক্তবাণিজ্য প্রবাহে পারস্পরিক আস্থাহীনতার কারণে সে সুযোগ কাজে লাগানো সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে মুক্তবাণিজ্যের প্রধান প্রতিবন্ধকতা শুল্ক ও অশুল্ক বাধা। তিনি মনে করেন এসব বাধা দূর করে এক দেশ অন্য দেশে বিনিয়োগ এবং সীমান্ত বাণিজ্য নিশ্চিত করতে পারলে ‘আসিয়ান’-এর মতো এ অঞ্চলও শক্তিশালী একটি অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হবে। তিনি বলেন, এক দেশের পরিবহন যাতে অবাধে অন্য দেশে যেতে পারে, এক দেশের শ্রমিক যাতে অন্য দেশে কাজ করার সুযোগ পায় এবং অবাধ সীমান্ত নিশ্চিত হয়, সে ব্যবস্থা করতে হবে। এভাবেই দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আসিয়ান বা ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো একটি আঞ্চলিক অর্থনৈতিক জোট গড়ে তোলা যায়। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে মুক্তবাণিজ্য নিশ্চিত করতে ভারতকেই এগিয়ে আসতে হবে। প্রধান অতিথি স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে উন্নয়নের বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি টেকসই উন্নয়নের (এসডিজি) লক্ষ্য অর্জনে কাজ করছে। ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি পূরণ করতে হলে পরিবেশবান্ধব শিল্পায়নে ব্যাপক বিনিয়োগ দরকার। তিনি বলেন, এ অঞ্চলের ব্যবসায়ীদের মধ্যে অবাধ বিনিয়োগনীতি গ্রহণের মাধ্যমে একটি ‘ডায়ানামিক সাউথ এশিয়া’ গড়া সম্ভব। গত দেড় দশকে বাংলাদেশের অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা দারিদ্র্য বিমোচনকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। দারিদ্র্যের হার এখন ৪০ থেকে ১৮ শতাংশে নেমে এসেছে। এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বানানোই বাংলাদেশের পরবর্তী টার্গেট।’ পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘আমাদের প্রতিটি সীমান্তে অশেষ সুযোগ থাকলেও আমরা সে সুযোগ নিতে পারছি না। অবিশ্বাসের সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে পারলে এ অঞ্চলে অশেষ অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুযোগ আছে বলে আমি মনে করি।’ আঞ্চলিক উন্নয়ন কীভাবে কাজ করে তার উদাহরণ দিতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে আকাক্সিক্ষত বিষয় হচ্ছে পরিবেশবান্ধব শিল্পায়ন। আমাদের দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। অথচ নেপালে পানিবিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর বিশাল সুযোগ আছে।’ দক্ষিণ এশিয়াকে অর্থনৈতিক জোট করা সম্ভব হলে নেপালে পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ উৎপাদন করে সব দেশই লাভবান হতে পারে বলে জানান তিনি।
শিরোনাম
- জামায়াত ভাইয়ে ভাইয়ে বিরোধ সৃষ্টি করছে: টুকু
- লাঠি হাতে রাকসু নেতাদের মহড়া, ছাত্রলীগ দেখলেই গণধোলাইয়ের ঘোষণা
- তেজগাঁওয়ে ট্রেনের পরিত্যক্ত বগিতে আগুন, হাতেনাতে আটক ২
- এবার এমসিকিউ পদ্ধতিতে হবে জবির ভর্তি পরীক্ষা
- ঢাবির টিএসসিতে ককটেল বিস্ফোরণ
- মুক্তি পেল ‘ট্রায়াল অব জুলাই ম্যাসাকার’ প্রামাণ্যচিত্র
- প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
- রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২৪০০ মামলা
- গ্যাস অনুসন্ধানে ১০০ নতুন কূপ খনন কার্যক্রম জোরদার করছে পেট্রোবাংলা
- ভারতীয় দূতকে তলব, গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার কথা বলা অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান
- ধোলাইপাড়ে বাসে আগুন
- বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
- দেশের মানুষের সেবক হয়ে কাজ করবেন তারেক রহমান: ভিপি সাইফুল
- থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার সৈন্যদের আবারও পাল্টাপাল্টি হামলা, নিহত ১
- আবুধাবি টি-১০ লিগে খেলার জন্য এনওসি পেলেন সাইফ
- বিশ্বের সর্বোচ্চ হোটেল ‘সিয়েল দুবাই মেরিনা’র যাত্রা শুরু
- মার্কিন হামলার আশঙ্কায় গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভেনেজুয়েলা
- ‘রাজপথের সঙ্গীদের প্রতি আহ্বান, দয়া করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করবেন না’
- সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নওফেলের বাসায় পুলিশের অভিযান, আটক ৭
- তদন্তের জালে তুর্কি ফুটবল, দুই লিগ স্থগিত
সমৃদ্ধ দক্ষিণ এশিয়া গড়ার জন্য প্রয়োজন পারস্পরিক আস্থা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর