রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, নাশকতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে পরিকল্পিতভাবে নিরাপদ রেলযাত্রাকে অস্থিতিশীল করা হচ্ছে। বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলো যে রাজনৈতিক কর্মসূচি দিচ্ছে, এ সময়টাতে রেলে সহিংসতা বাড়ছে। এ ছাড়াও তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের তিনটি বগিতে নাশকতার ঘটনায় রেলপথ মন্ত্রণালয় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জানান মন্ত্রী।
গতকাল সকালে রেলভবনের সভাকক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থানে রেলে নাশকতা বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এ কথা বলেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে রেল চলাচলে হুমকি তৈরি হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রত্যেকের সহযোগিতা চাই। রাজনৈতিক কর্মসূচির সঙ্গে রেলকে সম্পৃক্ত করে এ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণ জনজীবন হুমকির মধ্যে ফেলা হয়েছে। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এগুলো প্রতিটি ফৌজদারি অপরাধ। আমাদের দিক থেকে আমরা নিরাপদ রেল যাত্রার সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের নাশকতা নিয়ে গঠিত কমিটিকে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে জানান তিনি।
সাম্প্রতিক সময়ে দুর্ঘটনা হওয়ার কারণ হিসেবে মন্ত্রী বলেন, যাত্রী হয়ে ভিতরে ঢুকে কেউ ট্রেনে নাশকতা করলে রেলকে নিরাপদ করা সম্ভব না। বিএনপি-জামায়াত ২০১৩-১৪ সালেও একই ঘটনা ঘটিয়েছে। বাসের বদলে ট্রেনকেই এখন প্রধান হাতিয়ার করা হচ্ছে। পরিকল্পিত দুর্ঘটনা ঘটাতে ফিসপ্লেট খুলে দিচ্ছে।
গত ১৬ নভেম্বর থেকে রেলপথে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের তথ্য তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, কর্ণফুলী সেতু থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথের অনেক যন্ত্রাংশ চুরি করার নামে খুলে নেওয়া হয়েছে যেন ট্রেন চলাচল করতে না পারে। তারা মনে করছে এ ধরনের নাশকতা ঘটিয়ে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা সম্ভব। নাশকতার কারণে রেল চলাচল বন্ধ হবে না। রাজনৈতিক কর্মসূচি দিতেই পারে কিন্তু সহিংসতা করতে পারে না।
দুর্ঘটনা কমাতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রেলের নিরাপত্তা বাহিনী, পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি। রেলপথের ব্যাপারে সহযোগিতার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। সন্ত্রাসীরা যাতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড করে রেল চলাচলে বিঘ্ন ঘটাতে না পারে- এ নিয়ে বৈঠকও হয়েছে। বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে নাশকতার বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান রেলমন্ত্রী।
