শুক্রবার, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

মিথ্যা ছড়ানো হচ্ছে বিদেশে

নিজস্ব প্রতিবেদক

মিথ্যা ছড়ানো হচ্ছে বিদেশে

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, অকাট্য প্রমাণ থাকার পরও ড. মুহাম্মদ ইউনূসের শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা ও সাজার বিষয়টি নিয়ে বিদেশে মিথ্যা ছড়ানো হচ্ছে। অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, আদালত, বিচার বিভাগসহ বাংলাদেশের মর্যাদা, গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের ধারাবাহিকতাকে ক্ষুণ্ন করার জন্য একটি মামলাকে কেন্দ্র করে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আমরা কারও অঙ্গুলিহেলনে চলি না। দেশে আইন আছে, আমরা সেই আইনে দেশ চালাব।

গতকাল সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা ও সাজা-পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার উপস্থিত ছিলেন। আইনমন্ত্রী বলেন, দেশের সব অঙ্গ-নির্বাহী বিভাগ, আইনসভা, বিচার বিভাগ এ দেশের মানুষের। এগুলোর কাজ সঠিকভাবে চলতে দেওয়া। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। অপরাধ করলে বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। আনিসুল হক বলেন, ২০১৭ সাল থেকে শ্রমিকরা অধিকার ক্ষুণ্ন হচ্ছে ও ন্যায্য প্রাপ্যতা দেওয়া হচ্ছে না অভিযোগ তুলে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে শতাধিক মামলা করেন। পরে ন্যায্য প্রাপ্যতা দেওয়ার আশ্বাসে তারা এই মামলা প্রত্যাহার করে। কিন্তু শ্রম অধিদফতরের কাছে মনে হয় শ্রমিকরা যে অভিযোগ করেছেন, তাতে ওই প্রতিষ্ঠানে শ্রম অধিকার ক্ষুণ্ন হচ্ছে। সে কারণে তারা তদন্ত করে এবং শ্রম দফতরের তদন্তে শ্রম অধিকার ক্ষুণ্ন হওয়ার একাধিক ঘটনা উঠে আসে। এরপর শ্রম দফতর মামলা করেছে।

তিনি বলেন, ড. ইউনূস হাই কোর্টে এবং আপিল বিভাগে আবেদন করেছিলেন, এই মামলা চলতে পারে না। দুই জায়গা থেকেই আবেদন খারিজ হয়ে গেছে। এর অর্থ হচ্ছে সর্বোচ্চ আদালত মামলা পরিচালনার অনুমোদন দিয়েছেন। আইনমন্ত্রী বলেন, এখন বলা হচ্ছে, সরকার তাকে হয়রানি করছে, শ্রমিকরা মামলা করেনি; এগুলো দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। আইনমন্ত্রী বলেন, কর ফাঁকির বিষয়ে ড. ইউনূস আপিল বিভাগ পর্যন্ত গিয়েছিলেন। তিনি হেরেছেন এবং ১২ কোটি টাকা কর পরিশোধ করেছেন। বিচারিক আদালত সাক্ষ্য প্রমাণ সাপেক্ষে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাকে শাস্তি দিয়েছেন। সাগর-রুনি হত্যা মামলার বিচার বিলম্ব নিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, এই মামলায় যদি পুলিশ তদন্ত শেষ না করতে পারে, তাহলে কি জোর করে সেই তদন্ত সমাপ্ত করে একটা চূড়ান্ত প্রতিবেদন কিংবা অভিযোগপত্র দেওয়াটা কি ঠিক? তাদের তদন্তে যতদিন সময় লাগে সঠিকভাবে দোষী নির্ণয় করতে, তাদের ততটুকু সময় দিতে হবে। সেটা যদি ৫০ বছর হয়, ৫০ বছর দিতে হবে। আইনমন্ত্রী বলেন, এই মামলাটি ব্যতিক্রমী। যেসব মামলায় অপরাধীকে ধরা গেছে, সেগুলোর বিচার তড়িৎ হচ্ছে। যেখানে অপরাধীকে ধরা যাচ্ছে না, তদন্ত শেষ করতে পারছে না, অবশ্যই তাদের সময় দিতে হবে।

সর্বশেষ খবর