দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন মানসম্পন্ন হয়নি বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিক ইনস্টিটিউট (আইআরআই) ও ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই)। গতকাল সংস্থা দুটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত নির্বাচন-পরবর্তী বিশেষজ্ঞ মূল্যায়ন মিশন (টিএমএম)-এর প্রতিবেদনে এ মন্তব্য করা হয়েছে। সরকারি ও বিরোধী দলের সহিংসতা, রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে সহিংসতা, নাগরিক স্বাধীনতার সংকোচন, বাকস্বাধীনতা ও সংগঠিত হওয়ার স্বাধীনতার অবনতিকে দায়ী করেছেন তারা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্ষমতাসীন দলকে সুবিধা দিতে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা পরিষেবা এবং বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান অসমভাবে নির্বাচনি বিধি প্রয়োগ করেছে। বিরোধী দলের সদস্যদের গ্রেফতার এবং তাদের রাজনৈতিক কর্মকান্ড সীমিত করার চেষ্টাও করেছে তারা। ফলে নির্বাচনের সময় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সম্পর্কে রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ রয়েছে। এতে আরও বলা হয়, দেশব্যাপী কার্যকর নির্বাচনি প্রতিযোগিতার অনুপস্থিতি ও নিরাপত্তায় সরকারের বাড়তি নজরের কারণে পূর্ববর্তী নির্বাচনের তুলনায় সহিংসতা কম হয়েছে। তবে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ও আওয়ামী লীগসংশ্লিষ্ট স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সহিংসতা ঘটেছে। নির্বাচনি প্রচার মিছিলে হামলা, প্রচার কার্যালয় ভাঙচুর, বিভিন্ন স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ ও হুমকির ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে বিএনপি নির্বাচন ঠেকাতে অহিংস আন্দোলনের কথা বললেও অগ্নিসংযোগ, শারীরিক হামলা, ভাঙচুরসহ নানা সহিংসতায় জড়িয়েছে। তাদের সহিংসতায় এক পুলিশ অফিসারের মৃত্যুও ঘটেছে। এ ছাড়াও সরকারের প্রতিশোধ নেওয়ার ভয়ের ফলে মিডিয়া স্ব-সেন্সরশিপ করেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। সাংবাদিকরা নির্বাচনি প্রচারণা ও বিক্ষোভের সময় ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধীদের সহিংসতার শিকার হয়েছেন। বাংলাদেশের আইনি কাঠামো লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শীর্ষ পর্যায়ের রাজনীতিবিদ ও সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে সচেতনতার অভাব ও ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এ নির্বাচনে মহিলা প্রার্থীদের অপমান ও হুমকি প্রদানের অভিযোগ উঠেছে প্রতিদ্বন্দ্বী পুরুষ প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের বিরুদ্ধে। রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তাদের জানানো হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ওপর সহিংসহার ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচনে ভোট প্রদানের জন্য তারা অর্থনৈতিক চাপেরও সম্মুখীন হয়েছে। এ ছাড়া উচ্ছেদ ও রাষ্ট্রের বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত করার হুমকিও দেওয়া হয় তাদের। এ ছাড়াও পরবর্তী নির্বাচনের পূর্বে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করতে পাঁচটি নীতির ওপর ভিত্তি করে ২৮টি সুপারিশ করেছে সংস্থাটি। নীতিগুলো হলো- প্রথমত, অহিংস নির্বাচনি ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে রাজনৈতিক দল, সরকারি প্রতিষ্ঠান, নাগরিকসহ সবাইকে রাজনীতির নিয়ম অনুশীলনে ভূমিকা পালন করতে হবে। দ্বিতীয়ত, নিরাপত্তাকর্মীদের জন্য আচরণবিধি প্রতিষ্ঠা এবং নির্বাচনি সহিংসতা সম্পর্কিত মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তিকরণ। তৃতীয়ত, সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা প্রশমন এবং সহিংসতা প্রশমনে সরকারকে পরামর্শ প্রদান। সর্বশেষ রাজনৈতিক দলগুলোর অহিংসার সংস্কৃতি গড়ে তোলা এবং নির্বাচনি সহিংসতায় জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা।
শিরোনাম
- এক মাস আগেও ডন আমাকে হুমকি দিয়েছে : নীলা চৌধুরী
- নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই : প্রেসসচিব
- ব্রয়লার ১৭০, পাঙাশ ১৮০, গরু ৭৪০, ডিমের হালি ৫০....
- রাজধানীর বাজারে কিছুটা স্বস্তি, কমেছে সবজির দাম
- ভারতের বাইকের সঙ্গে সংঘর্ষের পর বাসে আগুন, নিহত বেড়ে ২৫
- জামায়াত শুরু থেকেই জটিলতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে : রুমিন ফারহানা
- ভেনেজুয়েলা–যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনা বাড়ছে: মাদুরো বললেন, “এই ভূমিকে কেউ ছুঁবে না”
- স্টার সিনেপ্লেক্সে এ সপ্তাহে দুই সিনেমা: ‘চেইনসো ম্যান’ ও ‘কন্যা’
- মিয়ানমারের স্ক্যাম সেন্টারে বেলারুশের মডেলের ‘রহস্যজনক মৃত্যু’
- দক্ষিণ কোরিয়ায় শি’র সঙ্গে বৈঠক করবেন ট্রাম্প: হোয়াইট হাউজ
- ভারতে এসি বাসে ভয়াবহ আগুন, অনেক যাত্রীর মৃত্যুর আশঙ্কা
- রাশিয়ায় গোলাবারুদের কারখানায় বিস্ফোরণে নিহত ১২
- ২০২৮ সাল পর্যন্ত ইন্টার মায়ামিতে থাকছেন মেসি
- বৃহৎ প্রতিবেশীর ছায়ায় প্রাপ্য আন্তর্জাতিক মনোযোগ পাচ্ছে না বাংলাদেশ
- টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর
- শপথ নিলেন চাকসুর বিজয়ীরা
- অগ্নিনিরাপত্তা পরিদর্শন সপ্তাহ পালনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
- আখাউড়ায় ছুরিকাঘাতে যুবকের মৃত্যু
- সৌদি আরবকে কটাক্ষ করে মাফ চাইলেন ইসরায়েলি মন্ত্রী
- ১৯ মাস পর সিরিজ জিতে দলের প্রশংসায় মিরাজ
মার্কিন সংস্থার প্রতিবেদন
মানসম্পন্ন হয়নি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর