চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের শিশু কিডনি বিভাগে প্রতি মাসে অন্তত চার থেকে পাঁচজন শিশু কিডনি রোগীর বায়োপসি করাতে হয়। কিন্তু এ বিভাগে নেই পৃথক কোনো রুম। ফলে নিরুপায় হয়ে বায়োপসি করাতে হয় শিক্ষার্থীদের ক্লাস রুমে। এ জন্য অপেক্ষায় থাকতে হয় কখন ক্লাস শেষ হবে। প্রসঙ্গত, জটিল শিশু কিডনি রোগীর রোগ নির্ণয় করতে বায়োপসি করাতে হয়। জানা গেছে, প্রতিনিয়তই বাড়ছে কিডনি রোগী। কিন্তু চট্টগ্রামে সরকারিভাবে এই রোগের প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা ব্যবস্থা অত্যন্ত অপ্রতুল। বৃহত্তর চট্টগ্রামের প্রায় ৪ কোটি মানুষের জন্য আছে মাত্র চমেক হাসপাতালের শিশু কিডনি বিভাগটি। এখানে আছে মাত্র ১৫টি শয্যা। কিন্তু বিভাগে নেই আলট্রাসনোগ্রাফি মেশিন। দীর্ঘদিন আগের একটি মেশন থাকলেও সেটি নষ্ট পড়ে আছে। ওয়ার্ডে শিশু কিডনি রোগীর বিশেষ চিকিৎসা হেমো ডায়ালাইসিস ও পেটের পেরিটোরিয়ালের ব্যবস্থা নেই। তাছাড়া, শয্যা সংকটের কারণে কিডনি রোগীকে রাখতে হয় ৮ ও ৯ নম্বর শিশু স্বাস্থ্য ওয়ার্ডে। ফলে প্রতিদিন অন্তত চার থেকে পাঁচজন রোগীকে অন কলে শিশু স্বাস্থ্য ওয়ার্ডে গিয়ে চিকিৎসা দিতে হয় চিকিৎসককে। পৃথক ওয়ার্ড না থাকায় এ সমস্যা-সংকটগুলো যাচ্ছে না। এক শিশু কিডনি রোগীর মা বলেন, শিশু কিডনি সমস্যা নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। এখন আগের চেয়ে ভালো। কিন্তু বিভিন্ন রোগ নির্ণয়ের জন্য বাইরে যেতে হয়। চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দিন বলেন, শিশু কিডনি বিভাগটি ১৫ শয্যা থেকে ২০ শয্যায় উন্নীত করার প্রক্রিয়া চলছে। কাজ কিছুটা এগিয়েছে। নতুন বিভাগে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা উপকরণ ও কক্ষও বরাদ্দ দেওয়া হবে। শিশু কিডনি রোগী বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। আশা করি, নতুন জায়গায় স্থানান্তরিত করার পর এসব সমস্যা আর থাকবে না। জানা গেছে, শিশু কিডনি রোগীদের চিকিৎসার বিষয়টি বিবেচনা করে ২০১৪ সালের ১১টি শয্যা নিয়ে বিভাগটি যাত্রা করে। পরে সেখানে চারটি শয্যা যোগ করা হয়। তবুও শয্যা সংকটের কারণে রোগীকে শিশু স্বাস্থ্য ওয়ার্ডে রাখতে হয়। ওয়ার্ডে শিশু কিডনি রোগীদের জন্য আছে মাত্র একটি ডায়ালাইসিস মেশিন। শিশু কিডনি বিভাগে অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপক আছে। কিন্তু পদই নেই রেজিস্ট্রার ও মেডিকেল অফিসারের। ফলে শিশু স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল অফিসাররা এ বিভাগে এসে চিকিৎসা প্রদান করেন। এ বিভাগে ২০২৩ সালে মোট শিশু রোগী ভর্তি হয় ৪৮৩ জন। বহির্বিভাগে চিকিৎসা নেয় ৯৫০ জন। ২০২১ সালে রোগী ভর্তি ছিল ৩০৩ জন এবং বহির্বিভাগে রোগী ছিল ১ হাজার ১০০ জন।
শিরোনাম
- গাইবান্ধার দুই এমপিওভুক্ত বিদ্যালয়ে এসএসসিতে শতভাগ ফেল
- খুলনায় বাসার সামনে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা
- ভালুকায় দাখিল পরীক্ষায় শীর্ষ অবস্থানে দারুননাজাত মডেল মাদ্রাসা
- থিম্পুতে চলছে এসপিবিএ ভুটান আর্টক্যাম্প ২০২৫
- মুন্সীগঞ্জে এতিম শিক্ষার্থী ও ছিন্নমূল মানুষের মাঝে আহার বিতরণ বসুন্ধরা শুভসংঘের
- পি-২২: পাহাড়ে ঘুরে বেড়ানো সিংহ হয়ে উঠল পরিবেশ আন্দোলনের মুখ
- শাবিপ্রবিতে আয়োজিত হচ্ছে ‘রেইজ ফর জাস্টিস’ ম্যারাথন, চলছে রেজিস্ট্রেশন
- ডিমের বাজারে স্বস্তির হাওয়া, বেড়েছে বিক্রি
- ৫ বলে ৫ উইকেট, ক্রিকেটে নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়লেন ক্যাম্ফার
- ৫ বিভাগে ভারী বর্ষণের আভাস, বাড়বে গরমের অনুভূতি
- গায়ানাকে গুঁড়িয়ে ৮ রানে জয় রংপুরের
- রাজধানীতে বৃষ্টির সম্ভাবনা, কমতে পারে তাপমাত্রা
- সারা বছর সুস্থ থাকতে নিয়মিত খান এই ৭টি খাবার
- খাবারের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা শিশুদের হত্যা করল ইসরায়েলি বাহিনী
- ইরান ভ্রমণে না যেতে যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান
- দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন ফের গ্রেপ্তার
- দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ব্যবসায়ী নিহত
- এসএসসিতে ফেল : বরিশালে পাঁচ ছাত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা, দুইজনের মৃত্যু
- এসএসসিতে গোল্ডেন এ প্লাস না পেয়ে বগুড়ায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
- টানা বৃষ্টির প্রভাব রাজধানীর বাজারে
চমেক হাসপাতালে ক্লাসরুমেই চলে বায়োপসি
রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর