নিম্ন আদালতে সব কাজ বাংলায় হলেও উচ্চ আদালতে আবেদন দাখিল থেকে রায় পর্যন্ত প্রায় সবই ইংরেজিতে। হাতে গোনা কয়েকজন বিচারপতি বাংলায় লিখলেও ইংরেজিতেই রায় ও আদেশ লেখেন অধিকাংশ বিচারপতি। তাই রায় ও আদেশ সাধারণ মানুষের বোধগম্য করতে বাংলায় অনুবাদের উদ্যোগ নেন সুপ্রিম কোর্ট। ঢোল পিটিয়ে ২০২১ সালে ‘আমার ভাষা’ নামে একটি সফটওয়্যারের কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা রায় ও আদেশ স্বয়ংক্রিয়ভাবে অনুবাদে একটি প্রযুক্তি উদ্বোধন করা হয় পরের বছর। আমার ভাষা সফটওয়্যারে কাজ হয়েছে নামমাত্র। আর গুগল প্রযুক্তি কাজ করে না অধিকাংশ সময়ই। রায় আদেশ অনুবাদের দুটি কার্যক্রমই থমকে আছে। আইনজ্ঞরা বলেন, সুপ্রিম কোর্টের সব রায় ও আদেশ বাংলায় করা সময়সাপেক্ষ বিষয়। তবে অনুবাদের উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসনীয় ছিল। অনুবাদের উদ্যোগ থমকে থাকাটা দুঃখজনক। তাঁদের আশা, সংকট কাটিয়ে দ্রুত রায় অনুবাদের কার্যক্রমে গতি ফিরবে। সুপ্রিম কোর্ট সূত্র জানিয়েছে, ‘আমার ভাষা’ সফটওয়্যারের মাধ্যমে রায় বা আদেশ অনুবাদের জন্য আলাদা কোনো সেল বা শাখা নেই। সুপ্রিম কোর্টের জনবল দিয়েই চলছে এ কার্যক্রম। লোকবল সংকটের কারণে সফটওয়্যারের মাধ্যমে অনুবাদের কার্যক্রম এখন প্রায় বন্ধই রয়েছে। চার বছরে মাত্র ৩৫টি রায় অনুবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে আপিল বিভাগের ১১টি এবং হাই কোর্ট বিভাগের ২৪টি রায় রয়েছে। অন্যদিকে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে গুগলের সহায়তায় সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে যুক্ত করা স্বয়ংক্রিয় অনুবাদ প্রযুক্তি কাজে আসছে না। সুপ্রিম কোর্ট সূত্র জানিয়েছে, ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ইংরেজি ভাষায় প্রদত্ত সব রায়-আদেশ এই প্রযুক্তির মাধ্যমে আইনজীবী, বিচারপ্রার্থী বা যে কেউ বাংলায় অনুবাদ করে দেখতে পারার কথা। তবে বর্তমানে ওয়েবসাইটের ওই অপশনে প্রবেশ করতে গেলে এরোর (ত্রুটি) দেখায়। সুপ্রিম কোর্টের নিজস্ব উদ্যোগে এই প্রযুক্তিটি সচল করা হলেও এরপর থেকে প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়নি। ফলে এখন আর তা কাজে আসছে না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও স্পেশাল অফিসার মো. মোয়াজ্জেম হোছাইন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমার ভাষা সফটওয়্যারের কার্যক্রম আপাতত ধীরগতিতে চলছে। গুগল প্রযুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, এই প্রযুক্তির কোনো কিছুই আমাদের হাতে নেই। এ কারণে মাঝে মাঝে সমস্যা হলেও আমাদের কিছু করার থাকে না। সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, রায় ও আদেশ বাংলায় অনুবাদের জন্য সফটওয়্যার তৈরি করা একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ ছিল। উচ্চ আদালতের কিছু বিচারপতি বাংলায় রায় লেখা শুরু করেছেন। তবে অধিকাংশ বিচারপতিই ইংরেজিতে রায় দেন। এ ছাড়া আইনজীবীদেরও ইংরেজি থেকে বাংলায় টার্ন করা সময়সাপেক্ষ। তাই আমরা দীর্ঘদিন ধরে এমন একটি মাধ্যমের অপেক্ষা করছিলাম। তবে এ উদ্যোগটি এখনো খুব একটা কাজে আসেনি। তিনি বলেন, যে কোনোভাবে রায় ও আদেশ সাধারণ মানুষের বোধগম্য করতে হবে। সাধারণ মানুষ যেন বুঝতে পারে, সে ব্যবস্থা করতে হবে। এজন্য সুপ্রিম কোর্ট দ্রুত সব সমস্যা সমাধান করবেন বলেই আশা করছি।
শিরোনাম
- গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু নেই, হাসপাতালে ভর্তি ২৯
- দেশের রিজার্ভ বেড়ে ২৭ বিলিয়ন ডলার
- মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে
- ছাত্রলীগের নির্যাতনের সহযোগী শিক্ষক-কর্মকর্তার বিচারের দাবিতে ঢাবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ
- মিরাজের ঘূর্ণিতে তিনদিনেই জিতল বাংলাদেশ
- চিন্ময় দাসের জামিন স্থগিত
- প্রিপেইড গ্যাস মিটার নিয়ে প্রতারণা এড়াতে তিতাসের সতর্কবার্তা
- শিল্পীদের মেধাসম্পদ সংরক্ষণে কাজ করছে সরকার : শিল্প উপদেষ্টা
- সাবেক প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
- ১১৯তম প্রাইজ বন্ডের ড্র, প্রথম বিজয়ী নম্বর ০২৬৪২৫৫
- রাজধানীর উত্তরায় ঢাবির বাসে হামলা, গ্রেফতার ৫
- প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মামলার আবেদনকারীকে হুমকির অভিযোগ
- এক ঠিকানায় মিলবে সব ‘নাগরিক সেবা’
- এনসিপি কোনো নির্বাচনি জোটে যাবে না : নাহিদ
- দেশে শ্রমিক সমাজ সবচেয়ে অবহেলিত : রিজভী
- কালকিনিতে হাতকড়াসহ পালানো আসামি গ্রেপ্তার
- চট্টগ্রামে দুই বন্ধুর ‘ইয়্যামেজিং’
- ১৪ পুলিশ সুপারকে বদলি
- শিশু আছিয়া ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিলেন তিন চিকিৎসক
- ‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার
প্রকাশ:
০০:০০, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
আপডেট:
০২:২০, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
থমকে আছে বাংলায় রায় অনুবাদ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর