ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ২০২৫ সালের দল ও প্রার্থীদের জন্য আচরণবিধি এবং ভোট কেন্দ্র স্থাপন নীতিমালা অনুমোদন করেছে নির্বাচন কমিশন। কমিশন বলছে, আচরণ বিধিমালার সঙ্গে সংস্কার কার্যক্রমের কিছু জড়িত। সেটা হলেই তা চূড়ান্ত করা হবে।
প্রস্তাবিত আচরণবিধিতে ভোটে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের জন্য ইসির তত্ত্বাবধানে প্রচারণা, আচরণবিধি মেনে চলার বিষয়ে দল ও প্রার্থীর প্রত্যয়নপত্রসহ কয়েকটি নতুন বিষয় যুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া ভোট কেন্দ্র স্থাপন নীতিমালার খসড়া অনুযায়ী ডিসি-এসপির কর্তৃত্ব বাদ দিয়ে ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদের রাখা হচ্ছে।
গতকাল ইসির পঞ্চম কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হয়। সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানান, রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০২৫; সংসদ নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র স্থাপন এবং ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০২৫ এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র স্থাপন এবং ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০২৫ এর নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এ সভায়। তিনি বলেন, বিধিমালা ও নীতিমালা বিশদভাবে আলোচনা হয়েছে। খসড়া নীতিগতভাবে অনুমোদন হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কমিটি এ নিয়ে কাজ করে কমিশনের কাছে উপস্থাপন করবে। তবে সংস্কার কমিশনের সুপারিশ ও অপরাপর সংশোধনীর বিষয় আছে। ততদিন পর্যন্ত হয়তো আমাদের অপেক্ষা করা লাগতে পারে এই জিনিসগুলো চূড়ান্ত করার জন্য। এ নির্বাচন কমিশনার জানান, ইসির তত্ত্বাবধানে নির্বাচনি প্রচারণা, সোশ্যাল মিডিয়া, দল ও প্রার্থীর প্রত্যয়নসহ নানা ধরনের নতুন বিষয় যুক্ত রয়েছে প্রস্তাবিত আচরণবিধিতে।
বিদ্যমান ভোট কেন্দ্র নীতিমালায় নির্বাচন কমিশন ভোট কেন্দ্র নির্ধারণের ক্ষেত্রে ডিসি ও এসপিদের সমন্বয়ে একটি জেলা কমিটি গঠন করে। এ কমিটির মাধ্যমেই ভোট কেন্দ্র স্থান নির্ধারণ ও পুনর্বিন্যাসের সিদ্ধান্ত নেওয়া হতো। তবে এই কমিটিগুলোর নিরপেক্ষতা ও রাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। নতুন নীতিমালায় সেই কাঠামো বাতিল করা হচ্ছে।
সভার আলোচনা নিয়ে ব্রিফিংয়ে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ‘উল্লেখযোগ্য সংশোধনের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট কেন্দ্র স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালায় যে কমিটি ছিল আমরা তা বিলুপ্ত করেছি। এটা কমিশনের অধীনে আনা হয়েছে। দ্বিতীয়ত ইভিএম-সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো আমরা বাতিল করেছি। যেহেতু ইভিএম নেই।’ ইসির অনুমোদনের পর গেজেট প্রকাশের অপেক্ষায় থাকবে। তবে সংস্কার সুপারিশ চূড়ান্ত হলেই এ-সংক্রান্ত গেজেট করা হতে পারে বলে জানান ইসি কর্মকর্তারা।