ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ পরিস্থিতিতে তেহরান থেকে বাংলাদেশিরা নিরাপদ স্থানে চলে গেছেন বলে জানিয়েছেন বিকল্প পররাষ্ট্র সচিব মো. নজরুল ইসলাম। পাশাপাশি ইরান থেকে ১০০ বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ইরানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বুধবার আমার কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন আমাদের দেশের দূতাবাসের সব কর্মকর্তা এবং তাদের পরিবার নিরাপদ স্থানে চলে গেছেন। এখন পর্যন্ত আমাদের দূতাবাসের কর্মকর্তা বা অন্যদের বিষয়ে কোনো হতাহতের খবর নেই। তেহরানে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশিরাও নিরাপদ স্থানে চলে গেছেন। তাদের দূতাবাসের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘আনুমানিক ৪০০ জনের মতো বাংলাদেশি তেহরানে ছিলেন। এর মধ্যে শতাধিক দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। হটলাইন চালু করার কারণে এ সংখ্যা আরও বাড়বে। বর্তমানে ইন্টারনেট বন্ধ আছে, কিন্তু টেলিফোন সংযোগ সম্ভবত চালু আছে। তেহরান শহরের বাইরে যেসব বাংলাদেশি আছেন তারাও যদি বাংলাদেশে ফেরত আসতে চান, সে বিষয়েও আমরা ব্যবস্থা নেব।’ বাংলাদেশিদের মোট সংখ্যা ২ হাজারের মতো বলে জানান তিনি। ইরানে টাকা পাঠাতে জটিলতা নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ইরানে টাকা পাঠাতে জটিলতা আছে। আমাদের দূতাবাসে কিছু টাকা আছে, আর আমাদের একজন অফিসার ইরান যাচ্ছেন। তাঁর মাধ্যমেও টাকা পাঠানো হচ্ছে। আমরা কিছু বন্ধুপ্রতিম দেশের কাছ থেকেও সহায়তা নেব।’
বিকল্প পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘দূতাবাস যোগাযোগ রেখে বাংলাদেশিদের বর্তমান জায়গা থেকে সরিয়ে তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে দেশে ফেরত আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তার অংশ হিসেবে তুরস্ক বা পাকিস্তান যেখানে সুবিধা হবে সব দিক বিবেচনায় আমরা ব্যবস্থা নেব।’ এদিকে একাধিক কূটনৈতিক সূত্র বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যের চলমান পরিস্থিতিতে স্থলপথে পাকিস্তান ও তুরস্ক হয়ে বাংলাদেশিদের ফেরানোর সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশিদের ফেরানোর প্রস্তাবে প্রাথমিকভাবে সম্মতি দিয়েছে পাকিস্তান। তেহরানের বাংলাদেশ দূতাবাস সেখানকার পাকিস্তান দূতাবাসে কূটনৈতিক পত্রের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে ১০০ বাংলাদেশির তালিকা হস্তান্তর করেছে। ইরান থেকে ফিরতে চাওয়া বাংলাদেশিদের অনলাইনে ভিসার জন্য আবেদন করতে বলেছে পাকিস্তান। তবে ইন্টারনেট সীমিত থাকায় বিকল্প ব্যবস্থায় বা বিশেষ কোনো বিবেচনার অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ।