জাতীয় নির্বাচন বানচালে দেশে অনেক গন্ডগোলের আশঙ্কা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমদ বলেছেন, নির্বাচনের আগে কিন্তু দেশে অনেক গন্ডগোল হবে। ভারতে আশ্রয় নিয়ে শেখ হাসিনা দেশ লন্ডভন্ড করার জন্য, নির্বাচন বানচাল করার জন্য অনেক সহিংস ঘটনার অবতারণা করবেন। আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আমরা দলমতনির্বিশেষে দেশবাসী সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে এ মাফিয়াদের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড প্রতিহত করব- আজকের দিনে এই হোক অঙ্গীকার। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘অগ্নি সোশ্যাল ফাউন্ডেশন’ ও ‘আমাদের নতুন বাংলাদেশ’ এর যৌথ উদ্যোগে জুলাই গণ অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ‘দ্রুত বিচার সম্পন্ন, মৌলিক সংস্কার ও সংসদ নির্বাচন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন। হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, এবারের নির্বাচন হবে গণতন্ত্রকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য, অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করার জন্য, হাসিনা মার্কা আওয়ামী লীগ মার্কা দুঃশাসনকে চিরতরে নির্বাসনে দেওয়ার জন্য। তিনি বলেন, ‘সরকারের কাছে আহ্বান রইল, আপনারা এমন একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন যা নিয়ে দেশবাসী গর্ব করতে পারে। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে, নিরপেক্ষ ব্যক্তিরা সেখানে রয়েছেন। আমি আশা করব, একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমেই গণরায় প্রতিফলিত হবে। এ নির্বাচনের জন্য দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের মানুষ অপেক্ষা করে আছে। অনেক মানুষ জীবন দিয়েছে গণতন্ত্র ফেরানোর জন্য, সুষ্ঠু নির্বাচন পাওয়ার জন্য। জামায়াতে ইসলামী নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে জানিয়ে মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, কিছু কিছু রাজনৈতিক দল ধরে নিয়েছে যে নির্বাচনে তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। জামায়াতে ইসলামী আজব আজব কথা বলে। তিনি আরও বলেন, তারা নতুন নতুন থিওরি দিচ্ছে, যার বিচার জনগণ করবে। গণতন্ত্রে তাদের মত প্রকাশের অধিকার আছে।
বিএনপির এ শীর্ষ নেতা বলেন, যে কোনো সংগ্রামের পর কৃতিত্ব দাবি করার লোকের অভাব হয় না। একটি রাজনৈতিক দল, যারা দীর্ঘদিন তাদের মিত্র ছিল, নির্বাচনের আগে এমন কিছু কথা বলেছে যা অবাক করার মতো। দলটি বলেছে, ১৯৭১ সালে জাতি নাকি পথভ্রষ্ট ছিল। তবে তিনি বলেন যে, ১৯৭১ সালে পুরো জাতি যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল এবং এটি কোনো রাজনৈতিক দলের একার যুদ্ধ ছিল না।