প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন নিশ্চিতকরণে বিচার বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। মানুষের আস্থা অর্জন করাই বিচার বিভাগের কাজ। ন্যায়বিচার পাওয়া জনগণের অধিকার, কোনো রাষ্ট্রীয় অনুগ্রহ নয়। আদালতে মামলার জট কমাতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, ডিজিটাল কেস ম্যানেজমেন্ট এবং বিচারকদের সক্ষমতা বৃদ্ধি জরুরি। আশা করি, আঞ্চলিক সহযোগিতা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে বিচারব্যবস্থা আরও কার্যকর হবে।
গতকাল বরিশাল নগরীর হোটেল গ্র্যান্ড পার্কে ‘বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও দক্ষতাবিষয়ক আঞ্চলিক সেমিনার’-এ প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও ইউনাইটেড নেশনস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনডিপি) বাংলাদেশ যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হাকন আর্লড গুলব্রান্ডসেন, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। স্বাগত বক্তৃতা দেন ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টিফেন লিলার।
প্রধান বিচারপতি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সক্রিয়তার কারণেই দ্রুততম সময়ে উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগের জন্য অধ্যাদেশ প্রণয়ন সম্ভব হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে সরকারের আন্তরিক সহযোগিতায় দেশের আদালতগুলোতে বিরাজমান মামলার জট নিরসনে বিভিন্ন স্তরে বিচারকের পদ সৃজন হয়েছে, যা অদূর ভবিষ্যতে মামলাজট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি আরও বলেন, বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় গঠনের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন করেছে। বিশেষায়িত বাণিজ্যিক আদালত তৈরির জন্য প্রাথমিক কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। বিচার বিভাগ সংস্কারের রোডম্যাপ কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও অন্তর্বর্তী সরকার নিবিড়ভাবে কাজ করছে। এরআগে প্রধান বিচারপতি ইউএনডিপির প্রতিনিধিদের নিয়ে বরিশাল জজ আদালত ক্যাম্পাস পরিদর্শন করেন। এ সময় আদালতের ন্যায়কুঞ্জ, লিগ্যাল এইডসহ অন্যান্য কার্যক্রম ঘুরিয়ে দেখেন প্রতিনিধি দল। এ বিষয়ে বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ শেখ ফারুক হোসেন জানান, প্রধান বিচারপতি বরিশালের আদালতের কার্যক্রম পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।