জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘আমরা কোনো জোট করার সিদ্ধান্ত নিইনি, জোট করবও না। আমরা নির্বাচনি সমঝোতা করব। শুধু ইসলামি দল নয়, দেশপ্রেমিক প্রতিশ্রুতিশীল যারা আছেন তারা সংযুক্ত হচ্ছেন। আগামীতে আরও অনেক দল এই নির্বাচনি সমঝোতায় যুক্ত হবেন। আমরা সবাইকে নিয়ে দেশ গড়তে চাই।’ গতকাল সকালে ওসমানী বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন। তৃতীয়বার দলের আমির নির্বাচিত হওয়ার পর সিলেট ফিরে বিমানবন্দরে দলের নেতা-কর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত হন তিনি। দলের নেতা-কর্মীরা তাকে বিমানবন্দরে সংবর্ধনা জানান।
গণভোট নিয়ে জামায়াতের অবস্থান পরিষ্কার উল্লেখ করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘গণভোট আগে না হলে কীসের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন হবে? তাই আমরা চাই গণভোট আগে হোক এবং জুলাই সনদ আইনিভিত্তি পাক।’
জামায়াতে ইসলামী বলছে সবাইকে নিয়ে নির্বাচন করতে। এখানে সবাই বলতে আওয়ামী লীগসহ কি না-সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. শফিক বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নিজেরাই তো নির্বাচন চায়নি। আপনারা কি তাদের ওপর জোর করে নির্বাচন চাপিয়ে দেবেন? তারা নির্বাচনে বিশ্বাসী, সেটা তারা প্রমাণ করতে পারেনি। এখন যেটা তারা চায় না সেটা তাদের ওপর চাপিয়ে দিলে জুলুম হবে না?’
নির্বাচন সামনে রেখে জনগণের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘অনেক ত্যাগ ও কোরবানি করে দেশে পরিবর্তন এসেছে। গত তিনটি নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেননি। দুঃশাসনের কারণে মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিলেন। তাই দুঃশাসনের যত কারণ ছিল সবগুলো দূর হওয়া উচিত। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় কারণ হলো দুর্নীতি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাই।’
পিআর পদ্ধতি ও ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন প্রসঙ্গে জামায়াতের আমির বলেন, ‘গণতন্ত্রের ফর্মুলা হচ্ছে একাধিক দল থাকবে, একাধিক আদর্শ থাকবে। সবাই তাদের আদর্শ, দাবি ও কর্মসূচি নিয়ে আসবে। আমরা মনে করি আমাদের পিআর পদ্ধতির দাবি শ্রেষ্ঠ দাবি। আমরা আশাকরি, জনগণ এটি বিবেচনায় নেবে। আমরা যা-ই করি জনগণকে নিয়ে করব। জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু করব না। জনগণ যদি মনে করে ভবিষ্যতে যাতে আর কোনো ফ্যাসিবাদ ফিরে না আসে সেজন্য পিআর পদ্ধতি প্রয়োজন। তবে আমরা সেই দাবি অব্যাহত থাকব। সবাইকে নিয়ে আমরা ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আদায় করে ছাড়ব ইনশাল্লাহ। নির্বাচন দেরি হলেই বিভিন্ন ধরনের আশঙ্কা তৈরি হবে।’