বুধবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা

ঝেড়ে ফেলুন মানসিক উৎকণ্ঠা

ঝেড়ে ফেলুন মানসিক উৎকণ্ঠা

প্রতি বছর ১৭ দশমিক ৩ মিলিয়ন বা প্রায় পৌনে দু্ই কোটি মানুষ মারা যাচ্ছেন হৃদরোগে। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, শিশু এবং নারীরাও অধিকতর হৃদরোগের ঝুঁকির ভেতরে অবস্থান করছে। মানসিক উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, আবেগের আগ্রাসন, কাজের বাড়তি চাপ, জীবনযাপনের চাপ প্রভৃতি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বদলাচ্ছে হৃদরোগের বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতি। বর্তমানে নিয়মতান্ত্রিক জীবন যাপন ও খাদ্যাভাস পরিবর্তন করে হার্টকে সুস্থ রাখতে রীতিমত যুদ্ধ চলছে। প্রকৃতপক্ষে, এ চিকিৎসা হলো আধুনিক প্রযুক্তি ও প্রাচীন প্রাকৃতিক পদ্ধতির আশ্চর্য সমন্বয়। এর মূল চাবিকাঠি হলো খাদ্যাভ্যাস, যোগব্যায়াম, প্রাণায়াম, মেডিটেশন ও নিউরোবিক। রোগীর বয়স এবং রোগের ধরন এবং তার বর্তমান অবস্থার ওপরই নির্ভর করে তার প্রতিদিনের খাদ্যগ্রহণ। পুষ্টিকর ও পরিমিত আহার তাকে ফিট রাখে। আর ব্যায়ামের ব্যাপারটি বিবিধ। তার আগে মন নিয়ন্ত্রণের জন্য চাই সঠিক উপায়ে মেডিটেশন। মানসিক চাপই মানুষের অসুখ ও অশান্তির মূল কারণ। মানসিক চাপ কমানোর বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মহাজাগতিক শক্তি থেকে জ্যোতি বা প্রাণরস আহরণের কথাও বলা হয়ে থাকে। এসব অর্জনের কাজটি কিন্তু অত সহজ নয়। তার জন্য নিয়মিত সময় দিতে হয়, চর্চা করতে হয় সঠিক নিয়ম মেনে। এ চিকিৎসায় সোল-মাইন্ড-বডি বা আত্দ-মন-দেহ সব কিছুর ওপরেই লক্ষ্য রেখে প্রোগ্রাম দেওয়া হয়। অথচ প্রথাগত পদ্ধতির চিকিৎসা ব্যবস্থায় কেবল দেহ বা শরীরের ওপরেই ফোকাস করে থাকে। এখানেই এ চিকিৎসার অগ্রসরতা। সুস্থ জীবন ও হার্টের লক্ষ্যে নিয়ম মেনে যোগব্যায়াম, প্রাণায়াম, মেডিটেশন ও নিউরোবিক পথ চলা শুরু করতে হবে।

ডা. গোবিন্দ চন্দ্র দাস, সহযোগী

অধ্যাপক, হলিস্টিক হেলথ কেয়ার, পান্থপথ, ঢাকা।

 

 

সর্বশেষ খবর