মঙ্গলবার, ২১ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা
আন্তর্জাতিক ইয়োগা দিবস আজ

রোগ প্রতিরোধে যোগব্যায়াম

অধ্যাপক ডা. গোবিন্দ চন্দ্র দাস

রোগ প্রতিরোধে যোগব্যায়াম

আন্তর্জাতিক ইয়োগা দিবস আজ। ইয়োগা বা যোগব্যায়াম রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণই শুধু করে না রোগ নিরাময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। জাতিসংঘ ২১ জুনকে আন্তর্জাতিক ইয়োগা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং ১৯০টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশেও এ দিবসটি পালিত হয়। যোগব্যায়ামকে জীবনযাপনের অংশ করে তুললে দেহ-মনের সুস্থতা ও শান্তি নিশ্চিত হবে। ওজন কমানো, শক্তিশালী নমনীয় শরীর, উজ্জ্বল ত্বক, শান্ত মন, ভালো স্বাস্থ্য ইত্যাদি যা কিছু আমরা পেতে চাই সবকিছুর চাবি আছে যোগাসনে। এতে অনেকরকম শারীরিক সমস্যা যথা : উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস, করোনারি আর্টারি ব্লকেজ ইত্যাদি রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব এবং শারীরিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিকভাবে সুস্থ জীবন কাটানো সম্ভব। যোগ অ্যালোপ্যাথির মতো কোনো লাক্ষণিক চিকিৎসা নয়, বরং রোগের মূল কারণকে নির্মূল করে আমাদের ভিতর থেকে সুস্থ করে তোলার এক উপায়। নিয়মিত যোগাভ্যাসের অসংখ্য উপকারিতার মধ্যে কয়েকটি নিয়ে আলোচনা করা যাক—

ফিটনেস : শারীরিকভাবে সুস্থ মানেই কিন্তু পুরোপুরি ফিট থাকা নয়। তখনই পুরোপুরি ফিট যখন মানসিক, আধ্যাত্মিক, শারীরিক ও সামাজিকভাবেই সুস্থ থাকবেন।

স্ট্রেস বা চাপ কমায় : সারা দিনের কাজের চাপে আমরা সবাই কমবেশি কাহিল হয়ে পড়ি। কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পর ক্লান্ত লাগে। অনেক সময়ই মেজাজ খারাপ থাকে। এর কারণ স্ট্রেস। শারীরিক এবং মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ি। যোগাসন এর থেকে মুক্তি দেয়।

মানসিক শান্তি : মানসিক শান্তি কে না চায়? নিয়ম করে একটু যোগাসন, ধ্যান, প্রাণায়াম, নিউরোবিক ইত্যাদির মাধ্যমে মনোসংযোগ এবং মানসিক শান্তি সম্ভব।

প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায় : নিয়মিত যোগাভ্যাস আমাদের শরীরের প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

অ্যানার্জি বাড়ায় : দিন শেষে আমরা ক্লান্ত হয়ে পড়ি। বাড়ি ফেরার পর অ্যানার্জি অবশিষ্ট থাকে না। মাত্র কয়েক মিনিটের যোগাভ্যাস কিন্তু সারা দিনের পরেও অ্যানার্জির জোগান দেবে।

সুস্থ সুন্দর সম্পর্ক : যোগাভ্যাস আমাদের কাছের মানুষ অর্থাৎ বাবা, মা, বন্ধু, স্বামী, স্ত্রী, আত্মীয়, পরিজন অফিস কলিগ সবার সঙ্গেই সম্পর্ক ভালো রাখতে সাহায্য করে। যোগাভ্যাস একটি নিয়মিত অভ্যাস। এখন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যোগব্যায়াম চর্চাকেন্দ্র গড়ে উঠেছে। এছাড়া পাশাপাশি নানারকম রোগ যোগাসনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। যেমন : উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা, অ্যাজমা, বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য, মাইগ্রেন, দুশ্চিন্তা এবং অবসাদ ইত্যাদি। বিশেষ কয়েকটি যোগাসন (প্রাণায়াম, মেডিটেশন, নিউরোবিক জিম ও আকুপ্রেসার) নিয়মিত অভ্যাসের মাধ্যমে এই ধরনের রোগগুলো থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যেতে

পারে এবং অনেকেই ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল ও অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন।

লেখক : পরিচালক, হলিস্টিক হেলথ কেয়ার

সেন্টার, ঢাকা । ফোন: ০১৭২১৮৬৮৬০৬

সর্বশেষ খবর