শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১০ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

জেনে রাখা ভালো

টিউমার সাধারণত দেহ কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি। টিউমার সাধারণত দুই প্রকার। ১. ম্যালিগনেন্ট (Malignant) যা থেকে ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ২. বিনাইন (Benign) সাধারণ, ক্যান্সার নয় আকারে দেখা দেয়। Tomour কে neoplasm (পিণ্ড) বলা হয়। আমাদের দেহের পুরনো কোষ ফবংঃত্ড়ু হয়ে কোষ বিভাজন ও (cell divison)-এর মাধ্যমে যদি নিয়ন্ত্রণ বা ভারসাম্য (imbalance) বাধাগ্রস্ত হয়। যা থেকে tumour তৈরি হয়। শরীরের বিভিন্ন স্থানে শক্ত বা নরম আকারে ফুলে ওঠে। টিপলে অনেক সময় ব্যথা ও জ্বালা করতেও পারে। আবার অনেক সময় ব্যথা ও জ্বালা থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) বর্তমানে জর্দা, গুল ও তামাককে টিউমার বা ক্যান্সারের জন্য বেশি দায়ী করে থাকে। এ ছাড়া সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি, কাজ না করে বসে থাকা (sedentary life), অস্বাভাবিক মোটা হয়ে যাওয়া (obesity), অতিরিক্ত মাদক সেবন, ধূমপান ইত্যাদির কারণেও টিউমার বা cancer হতে পারে। সাধারণত যারা (anxiety) দুশ্চিন্তাতে বেশি থাকেন তাদের tumour বা cancer এর প্রবণতা বেশি দেখা যায়। lung tumour-এ কাশি, শ্বাসকষ্ট, শরীর দিন দিন শুকিয়ে যায়, বুকে ব্যথা দেখা দেয়, colon tumour-এ ওজন কমে যায়, ডায়েরিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য ও রক্তশূন্যতা, পায়খানার সঙ্গে রক্ত দেখা দেয়। আবার কিছু tumour-এর ক্ষেত্রে কোনো লক্ষণই পাওয়া যায় না। তবে সে ক্ষেত্রে শীত শীত ভাব, শারীরিক দুর্বলতা, বার বার জ্বর, শরীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও ক্ষুধামন্দা, অবসাদ, প্রচুর ঘাম, শরীরের ওজন কমা।

এছাড়াও হোমিওপ্যাথিতে টিউমারের চিকিৎসা সাধারণত নির্ভর করে এর গতি-প্রকৃতি

ও অবস্থানের ওপর।

 ডা. এস. এম আবদুল আজিজ

সেক্রেটারি, আইডিয়াল ডক্টর্স ফোরাম অব হোমিওপ্যাথি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর