উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপদাহ। গত কয়েক দিন ধরে অসহনীয় গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতে সড়ক মহাসড়কের পিচ গলে যাচ্ছে। গলিত পিচ জুতা ও গাড়ির চাকায় লাগায় বিড়ম্বনায় পরছে যানচালকসহ স্থানীয়রা।
এদিকে প্রচন্ড গরমে লোকজন জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না। জনজীবনে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। সেই সাথে জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিং ভোগান্তি আরও বাড়িয়েছে। মোংলা আবহাওয়া অফিস বলছে, রবিবার বাগেরহাট জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪০ শতাংশ।
মোংলা আবহাওয়া অফিসের প্রধান আবহাওয়াবিদ মো. হারুন অর রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বাগেরহাটসহ খুলনা বিভাগে আরও ২ দিন তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এসময় জনসাধারনকে পর্যাপ্ত পানি পান, ছাতা ব্যবহার এবং সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সরাসরি রোদ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন তিনি।
বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার ফয়লা এলাকার মটরসাইকেল চালক সজিব শেখ বলেন, গত তিন দিন ধরে খুলনা-মোংলা মহাসড়কের করুন অবস্থা। প্রচন্ড গরমে গুরুত্বপূর্ণ এ মহাসড়কটির বেশ কিছু এলাকার পিচ গলে গেছে। রাস্তার এ পিচ মটরসাইকেলের চাকায় লেগে যাওয়ার পাশাপাশি গলিত পিচ জুতাও লেগে যাচ্ছে, যে কারনে আমাদের চলাচলে খুব কষ্ট হচ্ছে।
জেলার শরণখোলা উপজেলার বাসিন্দা মাহফুজুর রহমান বাপ্পি বলেন, একদিকে প্রচন্ড গরম, তার উপর ঘনঘন লোডশেডিং আমাদের কষ্ট আরও বাড়িয়েছে। রাতে দুই থেকে তিন ঘন্টা কারেন্ট থাকে না। গরমে ঘরে ঘুমাতে পারি না। ছেলে-মেয়ে নিয়ে খুব কষ্টে আছি।
একই চিত্র জেলার সদর সদরসহ মোরেলগঞ্জ উপজেলাও। এসব এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানান, দিনরাত মিলিয়ে আমাদের এখানে তিন থেকে চার ঘন্টা কারেন্ট থাকে না। একদিকে প্রচন্ড গরম অন্যদিকে ঘনঘন লোডশেডিং আমাদের ভোগান্তি আরও বাড়িয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম