শরীরের সমস্ত ভর বহন করে হাঁটু। তাই হাঁটু ব্যথা কর্মজীবনকে স্থবির করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। অনেকেই অভিযোগ করেন তিনি হাঁটু ব্যথার কারণে স্বাভাবিকভাবে নামাজ পড়তে পারেন না বা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য হাঁটতে পারেন না। পঞ্চাশোর্ধ্ব নারী- পুরুষ সবচেয়ে বেশি এই ব্যথায় ভুগে থাকেন। যাদের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তাদের হাঁটু ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
হাঁটু ব্যথার কারণ : আমাদের হাঁটু তিনটি ভিন্ন হাড়ের সংযোগস্থল। এটি লিগামেন্ট ও মাংসপেশি দ্বারা সুগঠিত। জয়েন্টের সাবলীল নাড়াচাড়ার জন্য এর ভিতরে গ্রিজের ন্যায় স্থিতিস্থাপক পদার্থ থাকে। এখন বয়স বা অতিরিক্ত ওজন বা অন্য কোনো কারণে যদি হাড়ে পরিবর্তন সাধিত হয় বা ভিতরের তরল পদার্থের স্থিতিস্থাপকতা হ্রাস পায় তবে হাঁটুতে মাঝারি থেকে তীব্র ব্যথা হতে পারে। অস্টিও আর্থ্রাইটিস বা হাঁটু ক্ষয় বয়স্ক রোগীদের হাঁটু ব্যথার প্রধানতম কারণ। একটি সাধারণ এক্স-রে দ্বারা এর তীব্রতা সহজেই নির্ণয় করা যায়।
চিকিৎসা : কারণ নির্ণয় করতে পারলে চিকিৎসা খুব সহজ। হাড় ক্ষয়জনিত হাঁটু ব্যথায় সমন্বিত চিকিৎসা বা ইন্টিগ্রেটেট ট্রিটমেন্ট যেমন; ইনফিলট্রেশন, ম্যানিপুলেশন ও ইলেকট্রোথেরাপি খুবই কার্যকর। এর সঙ্গে বিশেষ ধরনের ব্যায়াম করলে হাঁটু সবল হয়। ইনফিলট্রেশন দ্বারা হাঁটুর জেলির স্থিতিস্থাপকতা বাড়ানো যায় ফলে হাঁটু অধিক সচল হয় এবং দ্রুত ব্যথা কমে আসে। নিয়মিত ব্যায়াম করুন। বাড়তি ওজন ঝেড়ে ফেলুন। ব্যথা তীব্র হওয়ার আগেই ব্যবস্থা নিন।
ডা. মোহাম্মদ আলী, চিফ কনসালট্যান্ট,
এইচপিআরসি। [email protected]