বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

জেনে রাখা ভালো

জেনে রাখা ভালো

মাসল ক্র্যাম্প! এই শব্দ মানেই গতি রুদ্ধ, কাজ বন্ধ, যাত্রাও পণ্ড। সোজা কথায় বলতে গেলে একেবারে ফুল স্টপ। অন্তত কয়েক মিনিট তো বটেই। পায়ের মাসলগুলো তৈরি হয়েছে বান্ডিল বান্ডিল ফাইবার দিয়ে, যা ক্রমান্বয়ে সংকুচিত এবং প্রসারিত হয়, যাতে আমরা গতি পাই। এবার এই মাংসপেশিগুলোর কোনো একটিতে (আরও স্পষ্ট করে বলতে গেলে কাফ মাসলে) হঠাৎ সংকোচন হলেই মাসল ক্র্যাম্প হয়। টান ধরে। ক্র্যাম্প মৃদু হয়, আবার কখনো প্রকট। এতটাই যে, কখনো কখনো ঘুমের মধ্য থেকেও উঠে বসতে হয়। আবার কখনো কখনো দেখা যায়, পায়ের মাংসপেশিতে হঠাৎ প্রচণ্ড খিঁচুনি ধরে গেছে। এই উপসর্গকে বেসবল খেলোয়াড় চার্লি ‘হস’ র‌্যাডবোর্নের নামানুকরণে ‘চার্লি হস’ বলে অভিহিত করা হয়।

কেন হয়: প্রথম এবং সবচেয়ে ‘কমন’ কারণ এক্সারসাইজ। গরমে অনেকটা সময় ধরে শারীরিক কসরত করার পর মাংসপেশিতে ক্র্যাম্প ধরতে পারে। এর প্রধান কারণ অত্যধিক কসরতের পর মাংসপেশিগুলো এমনিতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তার উপর আবার ‘ডিহাইড্রেটেড’ বা ‘পানিশূন্য’ও হয়। শরীরে ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম-জাতীয় ইলেক্ট্রোলাইটসের ঘাটতির ফলে মাসলে ক্র্যাম্প ধরে। পাশাপাশি গর্ভাবস্থাতেও ক্র্যাম্প ধরার প্রবণতা থাকে। তৃতীয় ফ্যাক্টর বয়স। বয়স বাড়লে মাংসপেশি এমনিতেই অল্পে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তার উপর আবার সেই সময় শরীরে তরল পদার্থের সামান্য অভাব বোধ হলেই বয়স্ক, অবসন্ন মাংসপেশিতে ক্র্যাম্প ধরে। এমনিতে মাসল ক্র্যাম্পে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না, যদি ক্র্যাম্প বার বার হয় এবং প্রতিবার প্রচণ্ড টান ধরে, যা আপনাকে কার্যত অচল, অসাড় করে দেয়, সেক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

সূত্র : হেলথ জার্নাল।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর